
যশোর অফিস
যশোর সদরের মুরুলী পুকুরকুল আমতলা এলাকায় বসতভিটা দখল, হামলা, লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে চার দিন ধরে রাস্তায় অবস্থান করছেন ফারজানা ইয়াসমিন তনু ও তাঁর পরিবার। এই হামলার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে ফারজানা ইয়াসমিন তনু জানান,গত৩০ নভেম্বর আমার অসুস্থ মাকে দেখতে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যান তিনি। বিকেলে তাঁর ৬বছরের ছেলে রাফসান রাহিম সাইকেল চালাতে বের হলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির নাজিমের ছেলে তানভির (১৭)সহ কয়েকজন সাইকেল নেওয়ার কথা বলে শিশুর সাথে ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে রাফসানকে মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনার জেরে পূর্ব শত্রুতার কারণে ওই পক্ষ তাঁদের পরিবারের ওপর হামলা চালায়।
তনু জানান, প্রথম হামলার পর প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করলেও পরে একই পক্ষ থানায় অভিযোগ করে আবারও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় স্বর্ণালঙ্কার (১ ভরি), নগদ ৫ লাখ টাকা ও অগ্রণী ব্যাংকের একটি চেকবই। তাঁরা বাধা দিলে হামলাকারীরা পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। পরিবারের সদস্যদের মারধর করে ঘরের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন তনু।
তিনি বলেন,প্রাণভয়ে কাতর অবস্থায় তাঁরা কয়েক ঘণ্টা ঘরের ভেতর নিথর হয়ে পড়ে ছিলেন। এদিকে হামলাকারীরা থানায় গিয়ে উল্টো মামলা করে আসে। ফলে আমাদের পরিবারটি আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এ অভিযোগে তনু দাবি করেন, তাঁদের চার শতকের বসতভিটা মুরুলীর মেইন রাস্তার পাশে হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র জমিটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০১৬ সালেও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বোন লিজাকে মারধর করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তনু জানান বহু বাধা পেরিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হন। ওসি ঘটনাস্থল তদন্তের জন্য একজন এসআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে বাড়িতে ফিরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং পুনরায় হামলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
ফারজানা ইয়াসমিন তনু সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে দ্রুত আইনগত সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
যশোর অফিস 





































