
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থার সংস্কারসহ কয়েকটি দাবি তুলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে মোবাইল ব্যবসায়ীরা। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের আহ্বানে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন শপিং মলের মোবাইল ব্যবসায়ী ও দোকানের কর্মচারীরা আগারগাঁও প্লেকার্ড ও ব্যানার হাতে ভিড় করেন।
ব্যবসায়ীদের প্রধান তিনটি দাবি হলো- এনইআইআর সংস্কার, মোবাইল ফোন বাজারে সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল এবং বৈধভাবে মোবাইল আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করা।
বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির ডাকা এ কর্মসূচি সম্পর্কে সংগঠনের সেক্রেটারি আবু সায়ীদ পিয়াস বলেন, আমরা বহুবার সরকারের কাছে আলোচনার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু একবারও কোনো পক্ষ থেকে আমাদের ডাকা হয়নি। আলোচনার টেবিলে বসলে সমস্যার সমাধান সম্ভব ছিল। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, সারা দেশের খুচরা ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এর আগে, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রি (এনইআইআর) ব্যবস্থা সংস্কার এবং বাজারে ‘সিন্ডিকেট’ প্রথা বিলোপসহ কয়েকটি দাবিতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে সব মোবাইলফোন বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির উদ্যোগে এ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখো ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং বাজারে কৃত্রিমসংকট সৃষ্টি করে একটি বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হবে। পাশাপাশি আমদানি প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও অতিরিক্ত শুল্কের কারণে মোবাইল ফোনের দাম বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকদের ওপর। তাদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে- এনইআইআর ব্যবস্থার সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল, মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করা।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর কারওয়ান বাজার পান্থপথ এলাকায় দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন শপিং মলের মোবাইল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এর ফলে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে অনিবন্ধিত, চুরি হওয়া কিংবা অনুমোদনবিহীন আমদানি করা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন এ ব্যবস্থার বাস্তবায়নের আগেই জোরালো আন্দোলনে নামলেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা।
বার্তাকণ্ঠ ডেস্ক 






































