
যশোর অফিস
যশোরে তানভীর হাসান (২৬) হত্যার ঘটনায় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত তানভীরের পিতা মিন্টু শনিবার মধ্যরাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় হত্যার মূল নির্দেশদাতা হিসেবে বাবুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ৪–৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার পরপরই চোপদারপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম স্বাক্ষর ও বেলায়েত আলীর ছেলে সোনা মিয়াকে আটক করে। পলাতক আসামিরা হলেন একই এলাকার আব্দুল্লাহর ছেলে অভি, মজিবরের ছেলে মানিক এবং শংকরপুরের আল আমিন ওরফে চোর আলামিন। নিহত তানভীরের নামে হত্যাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আগে মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করলেও সম্প্রতি তানভীর রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তার বন্ধু আফজাল হত্যাকাণ্ডে বাবুলসহ কয়েকজনের সম্পৃক্ততা নিয়ে তানভীর প্রতিবাদ করতেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে শনিবার রাত ১০টার দিকে বাবুলের নেতৃত্বে আসামিরা তানভীরের বাড়িতে হামলা চালায়। তাকে না পেয়ে ভাঙচুর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ১২টায় শংকরপুর আনসার ক্যাম্পের পেছনে তানভীরকে একা পেয়ে বাবুল ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার ছুরিকাঘাত এবং চাপাতির কোপ দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন জানান, আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার সন্ধ্যায় আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
যশোর অফিস 






































