
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার ওসি কেএম মাসুদ রানার বিরুদ্ধে প্রায় ২৩ লাখ ২১ হাজার টাকা মূল্যের ১৩ হাজার ৯৫০ কেজি পাম অয়েল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা সম্পর্কিত বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী সাদিকুল ইসলাম। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ উপস্থাপন করেন।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ২১ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাঠানো ৭৫ ড্রাম পাম অয়েলবাহী একটি ট্রাক রায়গঞ্জ থানা–পুলিশ আটক করে। পরদিন তিনি থানায় গিয়ে ট্রাকটি দেখতে পান এবং পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনের শর্তে ট্রাক ও মালামাল ফেরতের বিষয়ে অবহিত করা হয়।
পরবর্তীতে তাকে জানানো হয়, আদালতের মাধ্যমে ট্রাক ও মালামাল জিম্মায় নিতে হবে। ২৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ আদালতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, আদালতে কেবল ট্রাকটি জমা দেওয়া হয়েছে এবং জব্দ তালিকায় পাম অয়েলের কোনো তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
এর পরদিন ওসি কেএম মাসুদ রানা এবং এসআই ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় পাম অয়েল নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত ও মালামাল উদ্ধারের আবেদন জানানো হয়।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ওসি কেএম মাসুদ রানা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ পক্ষ জানায়, ডাকাতির একটি ঘটনায় ট্রাক ও মালামাল জব্দ করা হয়েছিল এবং প্রকৃত মালিকরা আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে তাদের মালামাল বুঝে নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়ের করা মামলার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি পুলিশি জব্দ মালামালের ব্যবস্থাপনা ও নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 






































