মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জে গাছের সাথে ঝুলন্ত যুবকের লাশ 

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা এলাকায় মোঃ আক্কাছ মিয়া (২২) রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছেন। নিহত আক্কাছ ওই গ্রামের মোঃ আব্বাস মিয়ার বড় ছেলে। মোঃ আক্কাছ মিয়া পেশায় রংমিস্ত্রী ছিলেন।
সোমবার সকালে বাড়ির পাশের ধলাই নদীর তীরবর্তী পাড়ে গাছের সঙ্গে চাদর দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার সূত্রের বরাতে জানা যায়, সকালে আক্কাছের ছোট ভাই হাসান তাকে খুঁজতে গিয়ে নদীর পাড়ে তার বাইসাইকেল দেখতে পান। পরে আশেপাশে খোঁজাখুঁজির পর গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আক্কাছের লাশ দেখতে পান। তার দুই পা মাটিতে লাগানো ছিল, যা এলাকাবাসীর মাঝে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাত ৯ টার দিকে তিনি ভানুগাছ বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার আগে তার বাবার কাছ থেকে ৫০ টাকা নেন। রাত ১০টার দিকে বড় চাচা মোঃ নওশাদ মিয়া তাকে সফাত আলী সিনিয়র মাদ্রাসার কাছে দেখতে পান। বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন মোবাইলে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশী মোঃ শওকত বক্স পৌনে ৭টার দিকে ৯৯৯–এ ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মা ফাতই বেগম দাবি অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে আক্কাছের সঙ্গে উপজেলার আদমপুর এলাকার একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। তার মোবাইলে ওই মেয়ের ছবি ও আইডি কার্ড পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে আক্কাছ আত্মহত্যা করেছেন নাকি এটি পরিকল্পিত হত্যা।
এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে- ৯৯৯ ফোন দেওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আমির উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
জনপ্রিয়

এক সঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

কমলগঞ্জে গাছের সাথে ঝুলন্ত যুবকের লাশ 

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা এলাকায় মোঃ আক্কাছ মিয়া (২২) রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছেন। নিহত আক্কাছ ওই গ্রামের মোঃ আব্বাস মিয়ার বড় ছেলে। মোঃ আক্কাছ মিয়া পেশায় রংমিস্ত্রী ছিলেন।
সোমবার সকালে বাড়ির পাশের ধলাই নদীর তীরবর্তী পাড়ে গাছের সঙ্গে চাদর দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার সূত্রের বরাতে জানা যায়, সকালে আক্কাছের ছোট ভাই হাসান তাকে খুঁজতে গিয়ে নদীর পাড়ে তার বাইসাইকেল দেখতে পান। পরে আশেপাশে খোঁজাখুঁজির পর গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আক্কাছের লাশ দেখতে পান। তার দুই পা মাটিতে লাগানো ছিল, যা এলাকাবাসীর মাঝে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাত ৯ টার দিকে তিনি ভানুগাছ বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার আগে তার বাবার কাছ থেকে ৫০ টাকা নেন। রাত ১০টার দিকে বড় চাচা মোঃ নওশাদ মিয়া তাকে সফাত আলী সিনিয়র মাদ্রাসার কাছে দেখতে পান। বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন মোবাইলে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশী মোঃ শওকত বক্স পৌনে ৭টার দিকে ৯৯৯–এ ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মা ফাতই বেগম দাবি অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে আক্কাছের সঙ্গে উপজেলার আদমপুর এলাকার একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। তার মোবাইলে ওই মেয়ের ছবি ও আইডি কার্ড পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে আক্কাছ আত্মহত্যা করেছেন নাকি এটি পরিকল্পিত হত্যা।
এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে- ৯৯৯ ফোন দেওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আমির উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।