মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক সঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

ছবি-সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দীর্ঘ দশ বছর নিঃসন্তান থাকার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এনি আক্তার নামের এক নারী। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর পিপলস হাসপাতালে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের মধ্যে তিনজন কন্যা ও দুইজন পুত্র। চিকিৎসকদের পরামর্শে ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন এনি আক্তার ও তার স্বামী। বহু বছর চিকিৎসা গ্রহণ করেও ব্যর্থ হওয়া এই দম্পতির জন্য ঘটনা মানবিক দিক থেকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বর্তমানে পাঁচ নবজাতকই নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিন শিশুর ওজন যথাক্রমে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ও ১ কেজি ৪০০ গ্রাম। বাকি দুই কন্যাশিশুর ওজন ১ কেজি করে যা তুলনামূলক কম হওয়ায় তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নবজাতকদের ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি জানান, এনি আক্তার বহু বছর ধরে নিঃসন্তান থাকার কষ্টে ছিলেন। তাদের সংসার পর্যন্ত ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও কষ্ট করে চিকিৎসার ব্যয় বহন করেছেন তারা। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম সত্যিই ব্যতিক্রমী ঘটনা।

মা এনি আক্তার বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সাতকানিয়ায় ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এনি আক্তারের স্বামী সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও, দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের আগমনে উচ্ছ্বসিত পুরো পরিবার।

জনপ্রিয়

মামদানির জননিরাপত্তা ট্রানজিশন টিমে দোষী সাব্যস্ত সশস্ত্র ডাকাত নিয়োগ

এক সঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী

প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দীর্ঘ দশ বছর নিঃসন্তান থাকার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এনি আক্তার নামের এক নারী। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর পিপলস হাসপাতালে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের মধ্যে তিনজন কন্যা ও দুইজন পুত্র। চিকিৎসকদের পরামর্শে ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন এনি আক্তার ও তার স্বামী। বহু বছর চিকিৎসা গ্রহণ করেও ব্যর্থ হওয়া এই দম্পতির জন্য ঘটনা মানবিক দিক থেকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বর্তমানে পাঁচ নবজাতকই নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিন শিশুর ওজন যথাক্রমে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ও ১ কেজি ৪০০ গ্রাম। বাকি দুই কন্যাশিশুর ওজন ১ কেজি করে যা তুলনামূলক কম হওয়ায় তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নবজাতকদের ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি জানান, এনি আক্তার বহু বছর ধরে নিঃসন্তান থাকার কষ্টে ছিলেন। তাদের সংসার পর্যন্ত ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও কষ্ট করে চিকিৎসার ব্যয় বহন করেছেন তারা। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম সত্যিই ব্যতিক্রমী ঘটনা।

মা এনি আক্তার বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সাতকানিয়ায় ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এনি আক্তারের স্বামী সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও, দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের আগমনে উচ্ছ্বসিত পুরো পরিবার।