
শহিদ জয়, যশোর
বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুক্ত জ্ঞান চর্চার প্রতিষ্ঠান প্রাচ্যসংঘ যশোরের ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপিত হয়েছে। এউপলক্ষ্যে গতকাল সন্ধ্যায় প্রাচ্য প্রাঙ্গনে আয়োজন করা হয় কেক কাটা,সঙ্গীতানুষ্ঠান ওমুক্ত আলোচনা সভার। সমগ্র অনুষ্টানটি যশোরের সুধীজনদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। উপস্থিত সালকে স্বাগত জানান প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা লেখক,সাংবাদিক ও গবেষক বেনজীন খান। পরে উপস্থিত সকলকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটায় অংশ নেন বেনজীন খান ও সুলতানা ফরিদা বারিসহ প্রাচ্য পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সুধীজন।
এই মিলন মেলায় উপস্থিত ছিলেন যশোর পৌর সভার প্রশাসক ও ডিডিএলজি রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সুজন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) খান মাসুম বিল্লাহ,
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি ও যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যশোর বারের সাবেক সভাপতি এ্যাড. মোহাম্মদ ইসহক, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, বিশিষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠক এজেডএম সালেক,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাহাবুব আলম লাভলু, প্রেস ক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি ফকির শওকত, সাবেক সহ সভাপতি নূর ইসলাম, প্রাচ্যসংঘ যশোরের সুপ্রিম কাউন্সিলের সিনিয়র সদস্য আকতার ইকবাল টিয়া,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মাসুক হাসান টিটো,প্রাচ্যসংঘ যশোরের সৃপ্রিম কাউন্সিল সদস্য আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সজল,প্রাচ্যসংঘ যশোরের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন সুইট,বর্তমান কমিটির আহবায়ক কবি বাবলু মাহাবুব, সদস্য সচিব সোহানুর রহমান সোহান,কবি তোহিদ মনি, প্রাচ্যসংঘ যশোরের নিয়মিত সঙ্গীত শিল্পী আলমগীর হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন স্বপন,সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাসুদ আলম,এনসিপি যশোরের আহবায়ক নুরুজ্জামান, যুগ্ম সমন্বকারী আশা আক্তার,গণপূর্ত যশোর সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, দৈনিক রানার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক দিপু আলম, বিএনপি নেতা এ্যাড. হাজী মুকুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক বেনজীন খান উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রাচ্যসংঘ যশোরের গড়ে তোলার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বেনজীন খান বলেন, বাঙ্গালী সংস্কৃতির নামে গত ৫৪ বছর বাংলাদেশে ভারতীয় হেজিমণি ও হিন্দুত্ববাদকে আমাদের অর্থাৎ এই দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই দেশাে ভারতের উপ রাষ্ট্রে পরিণত করার সব নীলনকসা তৈরী করা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ২০১২ সালে ভারতীয় হেজিমণির পাল্টা বাংলাদেশী সংস্কৃতির হেজিমণি তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা প্রাচ্যসংঘ গড়ে তুলি। আম্দের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল জাতি,ধর্ম ও বর্ণের সমন্বয়ে আমরা বাংলাদেশী, আমাদের জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং আমাদের সংস্কৃতি বাংলাদেশী সংস্কৃতি এই পরিচয়কে জ্তির সামনে তুলে ধরা। আমরা সকল জাতি ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একত্রে সমস্বরে যেন বলতে পারি আমরা বাংলাদেশী। মোট কথা হচ্ছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ কে রাষ্ট্রের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদকে বিদায় করা।
পরে প্রাচ্যসংঘ যশোরের নিয়মিত শিল্পী ও কবিদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান।
শহিদ জয়, যশোর 






































