সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে ছয় আসনে জমে উঠেছে প্রচার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: 
সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ৬টি আসনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাসদসহ বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থীরা সভা–সমাবেশ, গণসংযোগ, পোস্টার–ব্যানার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর এই ছয়টি আসন বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও এবার দলটি নির্বাচনে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে স্থানীয়দের ধারণা। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকের অংশ কোন দিকে যাবে, সেটিই ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সিরাজগঞ্জ-১ (সদর ও কাজিপুর) আসনে বিএনপির সেলিম রেজা, জামায়াতের জেলা আমীর শাহীনুর আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ আবু জাফর ও বাসদের আবু সামা সরকার প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। এ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৬৫টি, মোট ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনকে জেলার রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জামায়াতের অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মহিব্বুল্লাহ এবং বাসদের আবদুল্লাহ আল মামুন প্রার্থী হয়েছেন। এখানে ভোটকেন্দ্র ১৬২টি, ভোটার ৪ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ ও তাড়াশ) আসনে বিএনপির আইনুল হক, জামায়াতের ড. মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, ইসলামী আন্দোলনের গাজী আইনুল হক ও বাসদের পলাশ কুমার ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংখ্যালঘু ভোটাররা ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ আসনে ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপির এম আকবর আলী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের লড়াইকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকাশ্যে এসেছে। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৯০।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে বিএনপির আমিরুল ইসলাম খান আলীম, জামায়াতের অধ্যক্ষ আলী আলম এবং ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মুফতি শেখ নূরুন্নাবী মাঠে আছেন। এ এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই শক্ত অবস্থান বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। মোট ভোটার ৪ লাখ ২২ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে বিএনপির চিকিৎসক এম এ মুহিত, জামায়াতের অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মেসবাহ উদ্দিন ও বাসদের আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসন ঐতিহাসিকভাবে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনে ভোটার ৪ লাখ ৮১ হাজারের বেশি।
সব আসনেই প্রার্থীরা নিজেদের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দল নিরপেক্ষ ভোটার ও পূর্বের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের অবস্থানই শেষ পর্যন্ত ফলাফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।
জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে ছয় আসনে জমে উঠেছে প্রচার

প্রকাশের সময় : ১১:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: 
সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ৬টি আসনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাসদসহ বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থীরা সভা–সমাবেশ, গণসংযোগ, পোস্টার–ব্যানার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর এই ছয়টি আসন বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও এবার দলটি নির্বাচনে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে স্থানীয়দের ধারণা। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকের অংশ কোন দিকে যাবে, সেটিই ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সিরাজগঞ্জ-১ (সদর ও কাজিপুর) আসনে বিএনপির সেলিম রেজা, জামায়াতের জেলা আমীর শাহীনুর আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ আবু জাফর ও বাসদের আবু সামা সরকার প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। এ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৬৫টি, মোট ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনকে জেলার রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জামায়াতের অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মহিব্বুল্লাহ এবং বাসদের আবদুল্লাহ আল মামুন প্রার্থী হয়েছেন। এখানে ভোটকেন্দ্র ১৬২টি, ভোটার ৪ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ ও তাড়াশ) আসনে বিএনপির আইনুল হক, জামায়াতের ড. মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, ইসলামী আন্দোলনের গাজী আইনুল হক ও বাসদের পলাশ কুমার ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংখ্যালঘু ভোটাররা ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ আসনে ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপির এম আকবর আলী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের লড়াইকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকাশ্যে এসেছে। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৯০।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে বিএনপির আমিরুল ইসলাম খান আলীম, জামায়াতের অধ্যক্ষ আলী আলম এবং ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মুফতি শেখ নূরুন্নাবী মাঠে আছেন। এ এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই শক্ত অবস্থান বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। মোট ভোটার ৪ লাখ ২২ হাজার।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে বিএনপির চিকিৎসক এম এ মুহিত, জামায়াতের অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মেসবাহ উদ্দিন ও বাসদের আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসন ঐতিহাসিকভাবে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনে ভোটার ৪ লাখ ৮১ হাজারের বেশি।
সব আসনেই প্রার্থীরা নিজেদের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দল নিরপেক্ষ ভোটার ও পূর্বের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের অবস্থানই শেষ পর্যন্ত ফলাফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।