বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ কবরে বাজলো রিংটোন, ঘটনা কী

ছবি-সংগৃহীত

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এক অনন্য ঘটনার শিকার হয়েছেন যুবক সামিউল ইসলাম সামি। দাফনকাজ শেষে হারানো মোবাইল ফোনটি তিনি কবর থেকে খুঁজে পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালেই জয়ন্তীপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর সামাজিক কবরস্থান থেকে ফোনটি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে সামি জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নেন এবং মোবাইল ফোনটি সঙ্গে নিয়ে কবর পর্যন্ত যান। দাফনের পর বাড়ি ফিরে পকেট থেকে ফোনটি না পেয়ে সন্দেহ হয় যে ফোনটি কবরস্থানে পড়ে থাকতে পারে।

সামিউল ইসলাম সামি জানান, আমি নিশ্চিত ছিলাম ফোনটি কবরেই রয়েছে। কারণ ফোনটি রিং করছিল, যদি কেউ পেতো তো নিশ্চয়ই বন্ধ করে দিত বা সিম খুলে ফেলত। আলহামদুলিল্লাহ, সকালে কবর খুঁড়ে ফোনটি উদ্ধার করেছি।

জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ বলেন, মোবাইলটি কবরের উপরের অংশে থাকার কারণে সহজেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণত দাফনের সময় কবরের উপর খাপাচি দিয়ে মাটি দেওয়া হয়, মোবাইলটি সেই খাপের উপরের দিকে অবস্থান করায় গভীরে না গিয়ে পাওয়া গেছে। এটি সত্যিই বিরল এবং আশ্চর্যজনক ঘটনা।

স্থানীয় প্রতিবেশী মুসা আলম বলেন,এমন ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। কবর থেকে মোবাইল ফোন বের হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। সামি খুব খুশি হয়েছে এবং আমরা সবাই অবাক। এই ঘটনাটি কেবল চমকপ্রদই নয়, স্থানীয় মানুষের জন্য এটি একটি শিক্ষা ও স্বস্তির বিষয় হয়ে উঠেছে।

জনপ্রিয়

বাগেরহাটে গ্লোবাল এডুকেশন ইনস্টিটিউটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

হঠাৎ কবরে বাজলো রিংটোন, ঘটনা কী

প্রকাশের সময় : ০২:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এক অনন্য ঘটনার শিকার হয়েছেন যুবক সামিউল ইসলাম সামি। দাফনকাজ শেষে হারানো মোবাইল ফোনটি তিনি কবর থেকে খুঁজে পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালেই জয়ন্তীপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর সামাজিক কবরস্থান থেকে ফোনটি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে সামি জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নেন এবং মোবাইল ফোনটি সঙ্গে নিয়ে কবর পর্যন্ত যান। দাফনের পর বাড়ি ফিরে পকেট থেকে ফোনটি না পেয়ে সন্দেহ হয় যে ফোনটি কবরস্থানে পড়ে থাকতে পারে।

সামিউল ইসলাম সামি জানান, আমি নিশ্চিত ছিলাম ফোনটি কবরেই রয়েছে। কারণ ফোনটি রিং করছিল, যদি কেউ পেতো তো নিশ্চয়ই বন্ধ করে দিত বা সিম খুলে ফেলত। আলহামদুলিল্লাহ, সকালে কবর খুঁড়ে ফোনটি উদ্ধার করেছি।

জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ বলেন, মোবাইলটি কবরের উপরের অংশে থাকার কারণে সহজেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণত দাফনের সময় কবরের উপর খাপাচি দিয়ে মাটি দেওয়া হয়, মোবাইলটি সেই খাপের উপরের দিকে অবস্থান করায় গভীরে না গিয়ে পাওয়া গেছে। এটি সত্যিই বিরল এবং আশ্চর্যজনক ঘটনা।

স্থানীয় প্রতিবেশী মুসা আলম বলেন,এমন ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। কবর থেকে মোবাইল ফোন বের হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। সামি খুব খুশি হয়েছে এবং আমরা সবাই অবাক। এই ঘটনাটি কেবল চমকপ্রদই নয়, স্থানীয় মানুষের জন্য এটি একটি শিক্ষা ও স্বস্তির বিষয় হয়ে উঠেছে।