বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪৫তম জন্মবার্ষিকী

রাজনীতিতে ভাসানীর আদর্শ ধারন করতে হবে: বাংলাদেশ ন্যাপ

‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করা সরকার ও রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। দলীয় রাজনৈতিক সরকারের মত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রতিষ্টিত সরকারও মওলানা ভাসানীকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তা দেশবাসীকে ব্যাথিত করেছেন।’

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ১২ ডিসেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন।

তারা বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধ কোনো একক ব্যক্তির অবদান নয়। বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যারা ভূমিকা রেখেছেন, সন্দেহাতীতভাবেই মওলানা ভাসানী তাদের মাঝে প্রধানতম। ভোটের রাজনীতি বা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নয়, ভাত-কাপড়ের রাজনীতি দিয়েই তিনি মানুষকে সংগঠিত করেছেন। জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করেই তিনি আপসহীনভাবে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। আজকেও মুক্তি পেতে হলে জনগণের সংগ্রামের ওপর ভিত্তি করেই মওলানা ভাসানীর রাজনীতিকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হব। ভাসানীর দেশপ্রেমের রাজনীতিকেই আজ ধারন করতে হবে।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘খুব বিখ্যাত ছিল মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ বলা। সমগ্র জাতিকে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন একজন মানুষ। সমগ্র জাতির যিনি নেতা তখন ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এখন তার কথা আলোচনা করা হচ্ছে না।’

তারা বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ছিলেন একাধারে কৃষক নেতা, অন্যভাবে তাকে গণমানুষের নেতা হিসাবেও আখ্যায়িত করা যায়। জাতির দুর্ভাগ্য তাকে ভালোভাবে স্মরণ না করে অকৃতজ্ঞার পরিচয় দিচ্ছে। একশ্রেণীর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে রাজনীতিবিদরা তাকে নিয়ে এমন তুচ্ছভাব দেখাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও তা অব্যাহত রেখেছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে।’

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের এই অবিসংবাদিত নেতার জন্ম ও মৃত্যুদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনে শাসকগোষ্টি হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। মওলানা ভাসানীর দেশপ্রেম এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আদর্শের পথ ধরে স্বাধীনতার ঘোষণা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম বেগবান করার প্রত্যয় ঘোষণা করতে হবে।’

জনপ্রিয়

ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি

১৪৫তম জন্মবার্ষিকী

রাজনীতিতে ভাসানীর আদর্শ ধারন করতে হবে: বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করা সরকার ও রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। দলীয় রাজনৈতিক সরকারের মত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রতিষ্টিত সরকারও মওলানা ভাসানীকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তা দেশবাসীকে ব্যাথিত করেছেন।’

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ১২ ডিসেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন।

তারা বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধ কোনো একক ব্যক্তির অবদান নয়। বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যারা ভূমিকা রেখেছেন, সন্দেহাতীতভাবেই মওলানা ভাসানী তাদের মাঝে প্রধানতম। ভোটের রাজনীতি বা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নয়, ভাত-কাপড়ের রাজনীতি দিয়েই তিনি মানুষকে সংগঠিত করেছেন। জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করেই তিনি আপসহীনভাবে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। আজকেও মুক্তি পেতে হলে জনগণের সংগ্রামের ওপর ভিত্তি করেই মওলানা ভাসানীর রাজনীতিকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হব। ভাসানীর দেশপ্রেমের রাজনীতিকেই আজ ধারন করতে হবে।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘খুব বিখ্যাত ছিল মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ বলা। সমগ্র জাতিকে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন একজন মানুষ। সমগ্র জাতির যিনি নেতা তখন ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এখন তার কথা আলোচনা করা হচ্ছে না।’

তারা বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ছিলেন একাধারে কৃষক নেতা, অন্যভাবে তাকে গণমানুষের নেতা হিসাবেও আখ্যায়িত করা যায়। জাতির দুর্ভাগ্য তাকে ভালোভাবে স্মরণ না করে অকৃতজ্ঞার পরিচয় দিচ্ছে। একশ্রেণীর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে রাজনীতিবিদরা তাকে নিয়ে এমন তুচ্ছভাব দেখাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও তা অব্যাহত রেখেছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে।’

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের এই অবিসংবাদিত নেতার জন্ম ও মৃত্যুদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনে শাসকগোষ্টি হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। মওলানা ভাসানীর দেশপ্রেম এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আদর্শের পথ ধরে স্বাধীনতার ঘোষণা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম বেগবান করার প্রত্যয় ঘোষণা করতে হবে।’