
শহিদ জয়, যশোর
যশোরে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার রাত থেকে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। দুপুরে শহরের পুরাতন কসবা চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে যুবলীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি রাত দশটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পর থেকে পুরো শহরজুড়ে শুরু হয় কড়াকড়ি তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার পর যশোর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশের বিশেষ অ্যাকশন শুরু হয়। রাত ১১টার পর পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নিজেই সাদা পোশাকে শহরের বিভিন্ন সড়কে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিতে থাকেন। তার নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানা, ডিবি ও ট্রাফিক পুলিশের একাধিক টিম একযোগে তল্লাশি অভিযানে অংশ নেয়।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যুবলীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের ওপর চালানো হয় কঠোর নজরদারি।
এ ছাড়া শহরের সিভিল কোর্ট মোড়, নিউমার্কেট, মনিহার মোড়, খাজুরা বাস স্ট্যান্ড গরীবশাহ মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় তল্লাশি চৌকি। এসব পয়েন্টে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি, মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই এবং সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গভীর রাতে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করেছে পুলিশ। রাত দিকে গরীবশাহ রোডে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসারকে তল্লাশি কার্যক্রম তদারকি করতে দেখা যায়। পুলিশের এমন তল্লাশির কারণে সাধারণ পথচারীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। এমন তল্লাশির কারণে অন্যান্য দিনের ন্যায় রাতে চলাচল রিক্সা চালকরা তাদের গন্তব্যে ফিরে যায়।
পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন “যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে পুলিশ মাঠে রয়েছে। শুধু শহর নয়, পুরো জেলা জুড়েই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা একনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।”
শহিদ জয়, যশোর 







































