
শহিদ জয়, যশোর
যশোর -নড়াইল সড়কের যশোর সদরের ভায়না দোরাস্তা মোড়ের হাবিবুর রহমানের বাড়িতে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মাসুম সরদার (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটক মাসুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশের সমন্বয়ে পুলিশের একটি টিম,গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে মাসুম সরদারকে আটক করা হয়। পরদিন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে তাকে ঘটনাস্থল ভায়না দোরাস্তা মোড়ের ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেলে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
জাকিয়া সুলতানার আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কোতোয়ালি থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করা হয়। এলাকার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে মাসুম সরদারকে শনাক্ত করা হয়। তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার আল আমিন মহল্লার বাসিন্দা এবং বাচ্চু সরদারের ছেলে। তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান,এই ডাকাতির ঘটনায় সাত থেকে আটজন জড়িত রয়েছে। তাদের বেশিরভাগের বাড়ি ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম এলাকায়। আটক মাসুম সরদারের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় একজন আসামি আটক রয়েছে, যাকে শোন অ্যারেস্টে যশোরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাসুম সরদারের কাছ থেকে ডাকাতির লুট হওয়া ২১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে হাবিবুর রহমান পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে ঘরের পেছনের দরজার তালা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে।
ডাকাতরা ওয়্যারড্রবে থাকা আলমারির চাবি নিয়ে সেখান থেকে প্রায় ১৮ লাখ টাকার সোনার অলংকার, নগদ দুই লাখ টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও প্রায় ৭০ হাজার টাকার অন্যান্য মালামাল লুট করে নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ডাকাতি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ জানিয়েছে,ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শহিদ জয়, যশোর 






































