রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গ্রেপ্তার প্রতিরোধ করতে গিয়ে ‘জঘন্য হামলা’

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর কামড়ে আইসিই কর্মকর্তা আহত

ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি:

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় গ্রেপ্তার প্রতিরোধের সময় এক অবৈধ অভিবাসীর কামড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)–এর এক কর্মকর্তা হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) এর সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএইচএস জানায়, ‘জঘন্য হামলা’টি ঘটেছে লুইজিয়ানার মধ্যাঞ্চলের টুলোস শহরে। অভিযুক্তের নাম ম্যাক্সিমিলিয়ানো পেরেজ।  ঘটনার পর আইসিই কর্মকর্তার রক্তাক্ত হাতের একটি ছবি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারের সময় পেরেজ কর্মকর্তাদের ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সে দাঁতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আইসিই কর্মকর্তার হাতে জোরে কামড় দেয়, ফলে ত্বক ছিঁড়ে যায় এবং রক্তপাত হয়।
ডিএইচএসের সহকারী সচিব ত্রিশা ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেন, এই অপরাধী অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে কামড়ে আক্রমণ করেছে। এর ফলে তার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হচ্ছে। ডিএইচএসের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনা ১,১৫০ শতাংশ বেড়েছে এবং মৃত্যুহুমকি বেড়েছে ৮,০০০ শতাংশ।
ম্যাকলাফলিন আরও বলেন, আইসিই কর্মকর্তারা প্রতিদিন কাজে গিয়ে কেবল আইন প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন, এটি তারই উদাহরণ। কামড় দেওয়া ও যানবাহন দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার মতো অনেক হামলাই ঘটছে তথাকথিত স্যাংচুয়ারি রাজনীতিকদের উসকানিতে, যারা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এড়াতে উৎসাহ দিচ্ছেন।
ডিএইচএস জানায়, পেরেজ–পেরেজ কখন ও কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তিনি কোনো অভিবাসন কর্মকর্তার দ্বারা পরিদর্শিত বা প্যারোলে মুক্তিও পাননি।
এই গ্রেপ্তারের খবর আসে সেই দিনই, যেদিন আইসিই একটি ছবি প্রকাশ করে যেখানে দেখা যায়, ফেডারেল এজেন্টদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক সন্দেহভাজনকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস–এর এক কর্মকর্তা হেফাজতে নিচ্ছেন।
সংস্থাটি জানায়, কোনো ফেডারেল এজেন্টকে আক্রমণ, হত্যা বা কাজে বাধা দেওয়ার হুমকি একটি গুরুতর অপরাধ (ফেলনি)।
আইসিই এক্স–এ লিখেছে, ওকলাহোমার টালসার বাসিন্দা লোগান মারফিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেডারেল এজেন্টদের গুলি করে হত্যা ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আহ্বান জানানো পোস্ট দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে।  ‘লোগান, এবার পরিণতি বুঝে নেওয়ার পালা বলে ‘পোস্টের শেষে যোগ করেন সংস্থাটি।
জনপ্রিয়

ঠাকুরগাঁওয়ে বাবলু টি কোম্পানির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

গ্রেপ্তার প্রতিরোধ করতে গিয়ে ‘জঘন্য হামলা’

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর কামড়ে আইসিই কর্মকর্তা আহত

প্রকাশের সময় : ১০:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি:

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় গ্রেপ্তার প্রতিরোধের সময় এক অবৈধ অভিবাসীর কামড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)–এর এক কর্মকর্তা হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) এর সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএইচএস জানায়, ‘জঘন্য হামলা’টি ঘটেছে লুইজিয়ানার মধ্যাঞ্চলের টুলোস শহরে। অভিযুক্তের নাম ম্যাক্সিমিলিয়ানো পেরেজ।  ঘটনার পর আইসিই কর্মকর্তার রক্তাক্ত হাতের একটি ছবি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারের সময় পেরেজ কর্মকর্তাদের ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সে দাঁতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আইসিই কর্মকর্তার হাতে জোরে কামড় দেয়, ফলে ত্বক ছিঁড়ে যায় এবং রক্তপাত হয়।
ডিএইচএসের সহকারী সচিব ত্রিশা ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেন, এই অপরাধী অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে কামড়ে আক্রমণ করেছে। এর ফলে তার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হচ্ছে। ডিএইচএসের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনা ১,১৫০ শতাংশ বেড়েছে এবং মৃত্যুহুমকি বেড়েছে ৮,০০০ শতাংশ।
ম্যাকলাফলিন আরও বলেন, আইসিই কর্মকর্তারা প্রতিদিন কাজে গিয়ে কেবল আইন প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন, এটি তারই উদাহরণ। কামড় দেওয়া ও যানবাহন দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার মতো অনেক হামলাই ঘটছে তথাকথিত স্যাংচুয়ারি রাজনীতিকদের উসকানিতে, যারা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এড়াতে উৎসাহ দিচ্ছেন।
ডিএইচএস জানায়, পেরেজ–পেরেজ কখন ও কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তিনি কোনো অভিবাসন কর্মকর্তার দ্বারা পরিদর্শিত বা প্যারোলে মুক্তিও পাননি।
এই গ্রেপ্তারের খবর আসে সেই দিনই, যেদিন আইসিই একটি ছবি প্রকাশ করে যেখানে দেখা যায়, ফেডারেল এজেন্টদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক সন্দেহভাজনকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস–এর এক কর্মকর্তা হেফাজতে নিচ্ছেন।
সংস্থাটি জানায়, কোনো ফেডারেল এজেন্টকে আক্রমণ, হত্যা বা কাজে বাধা দেওয়ার হুমকি একটি গুরুতর অপরাধ (ফেলনি)।
আইসিই এক্স–এ লিখেছে, ওকলাহোমার টালসার বাসিন্দা লোগান মারফিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেডারেল এজেন্টদের গুলি করে হত্যা ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আহ্বান জানানো পোস্ট দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে।  ‘লোগান, এবার পরিণতি বুঝে নেওয়ার পালা বলে ‘পোস্টের শেষে যোগ করেন সংস্থাটি।