সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই পেশায় রাতারাতি কিছু পাওয়া যায় না: প্রিয়ামনি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১১

ছবি-সংগৃহীত

দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব ভাষায় কাজ করে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অভিনেত্রী প্রিয়ামনি। সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডেও তিনি হয়ে উঠেছেন পরিচিত মুখ। ‘জওয়ান’, ‘আর্টিকেল ৩৭০’-এর পর অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর জনপ্রিয় সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ তাকে এনে দিয়েছে সর্বভারতীয় পরিচিতি। রাজ ও ডিকে পরিচালিত এই সিরিজের তৃতীয় মৌসুম ঘিরে আবারও আলোচনায় অভিনেত্রী।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত আড্ডায় সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের কাজ ও শিল্পীজীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন প্রিয়ামনি।

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি বলিউডে নিজের অবস্থান এখন বেশ দৃঢ় বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে মুম্বাইই তার কর্মজীবনের প্রধান ঠিকানা। তবে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক আজও অটুট। প্রিয়ামনি বলেন, প্রায় আট বছর ধরে মুম্বাইয়ে আছি। শহরটা এখন আপন হয়ে গেছে। খাবার, আবহাওয়া, মানুষ-সবকিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নিয়েছি। কিন্তু বেঙ্গালুরু আমার শিকড়। ওখানেই আমার শৈশব কেটেছে।

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ও বলিউডের কাজের ধরন তুলনা করে প্রিয়ামনি জানান, কাজের কাঠামো প্রায় একই হলেও সময় ব্যবস্থাপনায় রয়েছে পার্থক্য।

‘দক্ষিণে শৃঙ্খলা অনেক বেশি। আমরা খুব ভোরে কাজ শুরু করি। তামিল, তেলুগু, কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে ১২ ঘণ্টার শিফট স্বাভাবিক। মালয়ালম ছবিতে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করাটাই নিয়ম।’

‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজটি তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করেন প্রিয়ামনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন ভাষায় অনেক চরিত্রে কাজ করেছি। কিন্তু এই সিরিজ আমাকে যেভাবে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে, সেটা অন্য কোনো কাজ পারেনি। আগে মূলত দক্ষিণের দর্শকরাই আমাকে চিনতেন। ওটিটি আমাকে জাতীয় পরিসরে পরিচিত করেছে।

এই সিরিজে মনোজ বাজপেয়ীর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়ামনি। সহ-অভিনেতা হিসেবে মনোজ বাজপেয়ীকে নিয়ে তার মন্তব্য, মনোজ স্যার অসাধারণ অভিনেতা। ওনার সঙ্গে কাজ করতে হলে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে সেটে যেতে হয়। প্রতিটি শট থেকেই শেখার আছে। নিজের পরিশ্রমেই তিনি আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন-এটা আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।

নিজের ক্যারিয়ার ও প্রাপ্তি নিয়ে বাস্তববাদী প্রিয়ামনি বলেন, এই পেশায় রাতারাতি সাফল্য আসে না। পরিশ্রম, প্রত্যাখ্যান আর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এগোতে হয়। এখন ভিন্নধর্মী চরিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছি- এটাই সবচেয়ে আনন্দের। আর সবচেয়ে তৃপ্তির বিষয় হলো, এখন আমি আমার প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাচ্ছি।

জনপ্রিয়

যশোরে আ. লীগ নেতাসহ চারজন আটক, পরে কারাগারে প্রেরণ

এই পেশায় রাতারাতি কিছু পাওয়া যায় না: প্রিয়ামনি

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব ভাষায় কাজ করে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অভিনেত্রী প্রিয়ামনি। সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডেও তিনি হয়ে উঠেছেন পরিচিত মুখ। ‘জওয়ান’, ‘আর্টিকেল ৩৭০’-এর পর অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর জনপ্রিয় সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ তাকে এনে দিয়েছে সর্বভারতীয় পরিচিতি। রাজ ও ডিকে পরিচালিত এই সিরিজের তৃতীয় মৌসুম ঘিরে আবারও আলোচনায় অভিনেত্রী।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত আড্ডায় সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের কাজ ও শিল্পীজীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন প্রিয়ামনি।

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি বলিউডে নিজের অবস্থান এখন বেশ দৃঢ় বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে মুম্বাইই তার কর্মজীবনের প্রধান ঠিকানা। তবে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক আজও অটুট। প্রিয়ামনি বলেন, প্রায় আট বছর ধরে মুম্বাইয়ে আছি। শহরটা এখন আপন হয়ে গেছে। খাবার, আবহাওয়া, মানুষ-সবকিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নিয়েছি। কিন্তু বেঙ্গালুরু আমার শিকড়। ওখানেই আমার শৈশব কেটেছে।

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ও বলিউডের কাজের ধরন তুলনা করে প্রিয়ামনি জানান, কাজের কাঠামো প্রায় একই হলেও সময় ব্যবস্থাপনায় রয়েছে পার্থক্য।

‘দক্ষিণে শৃঙ্খলা অনেক বেশি। আমরা খুব ভোরে কাজ শুরু করি। তামিল, তেলুগু, কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে ১২ ঘণ্টার শিফট স্বাভাবিক। মালয়ালম ছবিতে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করাটাই নিয়ম।’

‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজটি তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করেন প্রিয়ামনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন ভাষায় অনেক চরিত্রে কাজ করেছি। কিন্তু এই সিরিজ আমাকে যেভাবে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে, সেটা অন্য কোনো কাজ পারেনি। আগে মূলত দক্ষিণের দর্শকরাই আমাকে চিনতেন। ওটিটি আমাকে জাতীয় পরিসরে পরিচিত করেছে।

এই সিরিজে মনোজ বাজপেয়ীর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়ামনি। সহ-অভিনেতা হিসেবে মনোজ বাজপেয়ীকে নিয়ে তার মন্তব্য, মনোজ স্যার অসাধারণ অভিনেতা। ওনার সঙ্গে কাজ করতে হলে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে সেটে যেতে হয়। প্রতিটি শট থেকেই শেখার আছে। নিজের পরিশ্রমেই তিনি আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন-এটা আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।

নিজের ক্যারিয়ার ও প্রাপ্তি নিয়ে বাস্তববাদী প্রিয়ামনি বলেন, এই পেশায় রাতারাতি সাফল্য আসে না। পরিশ্রম, প্রত্যাখ্যান আর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এগোতে হয়। এখন ভিন্নধর্মী চরিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছি- এটাই সবচেয়ে আনন্দের। আর সবচেয়ে তৃপ্তির বিষয় হলো, এখন আমি আমার প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাচ্ছি।