
যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে পিতার সামনে অটোরিকশা চালক শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি আলিফ (১৯)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মাগুরা জেলার শিমুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর সিপিসি-৩,যশোর ক্যাম্প এবং সিপিসি-২, ঝিনাইদহের একটি দল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে মাগুরা সদরের শিমুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা আলিফকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে রোববার রাত আনুমানিক বারোটার দিকে তার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আলিফ যশোর সদরের পাগলাদাহ মাঠপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। তিনি যশোর সদর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার সুত্র জানায়, নিহত শহিদুল ইসলাম পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। তিনি তার বিধবা বোনের অটোরিকশা ভাড়ায় চালাতেন। একই অটোরিকশা মাঝে মাঝে চালাতেন আসামি মিরাজ। অভিযোগ রয়েছে, মিরাজ নিহতের বোনকে কুপ্রস্তাব ও অশ্লীল কথাবার্তা বলায় শহিদুল ও তার বোন তাকে অটোরিকশা চালাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে একাধিকবার বিরোধ ও কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে মিরাজ শহিদুলকে হত্যার হুমকি দেয়।
এরই জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে যশোর সদরের পাগলাদাহ মাঠপাঠপাড়া এলাকার রাস্তায় অটোরিকশা নিয়ে পৌঁছালে আলিফসহ অন্যান্য আসামিরা শহিদুলের ওপর ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোর প্রতিনিধি: 






































