
‘গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্য মহান স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হলেও প্রতিহিংসা ও বিভাজনের রাজনীতির কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। মূলত দল, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। বর্তমানে ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের বিজয়ের চেতনাকে ধ্বংস করে দেশকে গভীর সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশকে গভীর সংকটের মধ্য ঠেলে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আসন্ন নির্বাচনকে ভুন্ডল করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একটি গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে সক্রিয়।’
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলা চলমান ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’
‘এই মুহুর্তে কোন বিভেদ নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী- ছোট দল বড় দল না দেখে সবাইকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার’ আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘অসাধু চক্র দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, এটি জাতির জন্য ভয়াবহ সংকেত। এই অবস্থায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারি না।’
বিজয় দিবসের কর্মসূচী : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোরে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৭টায় জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন। দলের সকল শাখাকে স্থানীয় পর্যায়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচী পালনের আহŸান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা 






































