বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কট করলো কুবির সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো 

কুবি প্রতিনিধি: শাহাবুদ্দীন শিহাব 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহীদ মিনারে নিবন্ধিত সংগঠনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেওয়ার প্রতিবাদে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আবাসিক হল এবং বিভাগগুলোর পরে নিবন্ধিত সংগঠনগুলোর পুষ্পস্তবক অর্পণ করার কথা থাকলেও সে নিয়ম ভঙ্গ করে শাখা ছাত্রদলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেওয়া হয়। পরবর্তী শিক্ষার্থীরা আয়োজক কমিটির কাছে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে প্রশাসনের উপস্থিতিতে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের উপর চড়াও হয় এবং সংগঠনগুলোকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেয়। এর প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
এ ব্যাপারে থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা ৫ই আগস্টের পর যেরকম আবহ চেয়েছিলাম, আশা করেছিলাম যে প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল পাব, ক্যাম্পাসে সকলের অধিকার চর্চার পরিবেশ হবে, দুঃখজনকভাবে বর্তমান ভিসি স্যার এবং তার সম্পূর্ণ যেই প্রশাসন, তারা সেটা নিশ্চিত করতে পারছেন না। বিজয় দিবসের মতোন এতো বিরাট একটা উৎসবকে তারা পানসে করে ফেললেন। যেসব ক্লাবের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এতোকিছু করে, সেই তারাই যেন আজকাল এই ক্যাম্পাসে অনেক বেশি অচেনা অজানা এতোগুলো দপ্তর, ছাত্র পরামর্শক থেকে শুরু করে প্রক্টর অফিস, ভিসি স্যার থেকে প্রোভিসি ম্যাম এর অফিস। কিন্তু এসব ইনফ্রাস্ট্রাকচার যেনো আমাদের জন্য না, আমাদের কোনো কিছুই মনে হচ্ছে এখানে নেই। এভাবে চলতে পারে না। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, ছাত্রবান্ধব ক্যাম্পাস চেয়েছিলাম। আশা করি উপাচার্য মহোদয় বিষয়গুলো ভাববেন। আমরা নিরাশ হতে চাই না।’
এ ব্যাপারে প্রতিবর্তনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান হৃদয় বলেন, ‘ আমাদের সকল সংগঠনের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা প্রতিবর্তন আজকের প্রোগ্রাম বয়কট করছি। প্রশাসন আমাদের বলেছে আমরা নাকি সারাবছর ভোগ করেছি অথচ একন তাদের সাহায্য করছি না এমনকি তারা আমাদের বিচার করার কথাও বলেছে। তাই আজকের সকল বিষয় মিলে আজকে প্রোগ্রাম আমরা বয়কট করছি।’
প্ল্যার্টফর্মের সদস্য নিলয় বড়ুয়া বলেন, ‘আজকে শহীদ মিনারে ঘটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকল নিবন্ধিত সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজকের প্রোগ্রাম আমরা বয়কট করছি। পরবর্তী যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা সকলে মিলে নিবো।’
ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাদিয়া আফরিন ইরা বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগগুলোর পর ফুল দেওয়ার জন্য যেখানে নিবন্ধিত ছাত্র সংগঠনগুলোর নাম নেওয়া হয়, সেখানে হঠাৎ করে রাজনৈতিক কোনো দলের নাম ঘোষনা হওয়াটা শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসনের চরম দূর্বলতা প্রকাশ পায়। এইরকম অনিরাপদ, অব্যবস্থাপনায় ঘেরা রাজনৈতিক প্রহসনে সংগঠনগুলো তাই তাদের অস্তিত্ব বাঁচাতে প্রতিবাদ স্বরপ এইএরকম পরিস্থিতিতে আমরা সংগঠনগুলো প্রশাসনের ব্যানারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফরম্যান্স করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি।’
জনপ্রিয়

যে ৫ খাবার ফ্রিজে রাখবেন না

বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কট করলো কুবির সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো 

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৭:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
কুবি প্রতিনিধি: শাহাবুদ্দীন শিহাব 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহীদ মিনারে নিবন্ধিত সংগঠনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেওয়ার প্রতিবাদে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আবাসিক হল এবং বিভাগগুলোর পরে নিবন্ধিত সংগঠনগুলোর পুষ্পস্তবক অর্পণ করার কথা থাকলেও সে নিয়ম ভঙ্গ করে শাখা ছাত্রদলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেওয়া হয়। পরবর্তী শিক্ষার্থীরা আয়োজক কমিটির কাছে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে প্রশাসনের উপস্থিতিতে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের উপর চড়াও হয় এবং সংগঠনগুলোকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেয়। এর প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
এ ব্যাপারে থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা ৫ই আগস্টের পর যেরকম আবহ চেয়েছিলাম, আশা করেছিলাম যে প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল পাব, ক্যাম্পাসে সকলের অধিকার চর্চার পরিবেশ হবে, দুঃখজনকভাবে বর্তমান ভিসি স্যার এবং তার সম্পূর্ণ যেই প্রশাসন, তারা সেটা নিশ্চিত করতে পারছেন না। বিজয় দিবসের মতোন এতো বিরাট একটা উৎসবকে তারা পানসে করে ফেললেন। যেসব ক্লাবের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এতোকিছু করে, সেই তারাই যেন আজকাল এই ক্যাম্পাসে অনেক বেশি অচেনা অজানা এতোগুলো দপ্তর, ছাত্র পরামর্শক থেকে শুরু করে প্রক্টর অফিস, ভিসি স্যার থেকে প্রোভিসি ম্যাম এর অফিস। কিন্তু এসব ইনফ্রাস্ট্রাকচার যেনো আমাদের জন্য না, আমাদের কোনো কিছুই মনে হচ্ছে এখানে নেই। এভাবে চলতে পারে না। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, ছাত্রবান্ধব ক্যাম্পাস চেয়েছিলাম। আশা করি উপাচার্য মহোদয় বিষয়গুলো ভাববেন। আমরা নিরাশ হতে চাই না।’
এ ব্যাপারে প্রতিবর্তনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান হৃদয় বলেন, ‘ আমাদের সকল সংগঠনের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা প্রতিবর্তন আজকের প্রোগ্রাম বয়কট করছি। প্রশাসন আমাদের বলেছে আমরা নাকি সারাবছর ভোগ করেছি অথচ একন তাদের সাহায্য করছি না এমনকি তারা আমাদের বিচার করার কথাও বলেছে। তাই আজকের সকল বিষয় মিলে আজকে প্রোগ্রাম আমরা বয়কট করছি।’
প্ল্যার্টফর্মের সদস্য নিলয় বড়ুয়া বলেন, ‘আজকে শহীদ মিনারে ঘটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকল নিবন্ধিত সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজকের প্রোগ্রাম আমরা বয়কট করছি। পরবর্তী যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা সকলে মিলে নিবো।’
ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাদিয়া আফরিন ইরা বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগগুলোর পর ফুল দেওয়ার জন্য যেখানে নিবন্ধিত ছাত্র সংগঠনগুলোর নাম নেওয়া হয়, সেখানে হঠাৎ করে রাজনৈতিক কোনো দলের নাম ঘোষনা হওয়াটা শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসনের চরম দূর্বলতা প্রকাশ পায়। এইরকম অনিরাপদ, অব্যবস্থাপনায় ঘেরা রাজনৈতিক প্রহসনে সংগঠনগুলো তাই তাদের অস্তিত্ব বাঁচাতে প্রতিবাদ স্বরপ এইএরকম পরিস্থিতিতে আমরা সংগঠনগুলো প্রশাসনের ব্যানারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফরম্যান্স করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি।’