
শহিদ জয়, যশোর
যশোর শহরের আলোচিত তানভীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাব্বি ইসলাম মুসা (রাব্বি ইসলাম মুসা)কে আটক করেছে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্প। মঙ্গলবার রাতে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা থেকে তাকে আটক করা হয়। মুসা যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে।
র্যাব জানায়,আটকের পর মুসাকে সঙ্গে নিয়ে তার শংকরপুর এলাকার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশের একটি ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে বিশেষ কায়দায় প্যাকেটে মোড়ানো পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। পরে তল্লাশির সময় মুসার স্ত্রী মুক্তা খাতুনের কাছ থেকে একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন জব্দ করা হলেও পিস্তলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তা খাতুনকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, গত ৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে যশোর শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পেছনে সন্ত্রাসী হামলায় শংকরপুর হাজারিগেট কলোনি পাড়ার বাসিন্দা মিন্টু গাজীর ছেলে, ছয় মামলার আসামি তানভীর নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ছিল মুসা এবং সে মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ধরতে তৎপর ছিল। গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে তার অবস্থান শনাক্ত করে মনিরামপুর থেকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, মুসা যশোরের একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে র্যাবের তালিকাভুক্ত ১৩ নম্বর আসামি এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীও বটে। বর্তমানে মুসা ও তার স্ত্রীকে র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, পৃথক অভিযানে যশোর শহরের পুরাতন কসবা ফাঁড়ির পুলিশ চাকুসহ মোহাম্মদ রসুল (১৯) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে। আটক রসুল সদর উপজেলার আড়পাড়া শাহাপুর গ্রামের আনসার মোল্লার ছেলে।
ফাঁড়ির এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপশহর বি-ব্লক বাজারের একটি ওয়েল্ডিং দোকানের সামনে থেকে রসুলকে আটক করা হয়। পরে দেহ তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে একটি স্টিলের বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
শহিদ জয়, যশোর 






































