
আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিকাজের উন্নয়ন ও যান্ত্রিকীকরণের কারণে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে গরুর হালচাষ। একসময় দেশের গ্রামাঞ্চলে চাষাবাদের প্রধান উপকরণ ছিল গরু ও লাঙল। কৃষকরা গরুর জোত বেঁধেই জমি করতেন চাষ। কিন্তু এখন আর আগের সেই দৃশ্য দেখা যায় না।
ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলারসহ বিভিন্ন আধুনিক কৃষিযন্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় গরুর হালের ব্যবহার দ্রুত কমে যাচ্ছে। খরচ, সময় সাশ্রয় এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যেই কৃষকরা ঝুঁকছেন যান্ত্রিক পদ্ধতির দিকে। ফলে গরুর হালচাষ এখন প্রায় ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে।
২২ টি ইউনিয়ন ঘুরে ঘুরে দেখলাম রহিম,দুলাল,সিদ্দিক আরো অনেক কৃষক জানান, গরু পালনের ব্যয় বহন করা এখন বেশ কঠিন। জমি কমে যাওয়া, খাবারের দাম বৃদ্ধি ও আধুনিক যন্ত্রের সহজ ব্যবহার– সব মিলিয়ে গরুর হাল আর কৃষকের কাছে লাভজনক নয়।
ঠাকুরগাঁও কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরুর হাল শুধু কৃষিকাজের উপকরণ নয়, গ্রামীণ সংস্কৃতিরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। এটি হারিয়ে গেলে গ্রামীণ জীবন ও ঐতিহ্য থেকে মুছে যাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই এ ঐতিহ্য রক্ষায় সচেতনতা ও আগ্রহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এক সময়ের কৃষির মূল ভিত্তি গরুর হাল—আজ বিলুপ্তির পথে। গ্রামীণ সমাজের সেই চিরচেনা দৃশ্য ফিরবে কিনা, তা এখন সময়ই বলে দেবে।
আব্দুল আউয়াল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ 






































