
ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশ গ্রিসের বৃহত্তম দ্বীপ ক্রিটের উপকূলে নৌকা ডুবে নিহত হয়েছেন ১৪ জন মিসরীয় নাগরিক। এরা সবাই নথিবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর মিসরের এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উপকূল থেকে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের উদ্দেশে ৩৪ জন নথিবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে গ্রিসের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান। ক্রিটের উপকূলের কাছাকাছি এসে নৌকাটি ডুবে যায় এবং সব যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটে। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ১৪ জন গ্রিসের নাগরিক ছিলেন।
মিসরের সঙ্গে লিবিয়া, সুদান, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন— এই চার দেশ এবং অঞ্চলের সীমান্ত রয়েছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে যদিও কোন দেশের উপকূল থেকে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা রওনা হয়েছিলেন— তা উল্লেখ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সবাই লিবিয়া থেকে রওনা হয়েছিলেন।
বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘ট্র্যাজিক’ উল্লেখ করে মিসরের নাগরিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, “আমরা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই দয়া করে কেউ অবৈধ অভিবাসনের লোভে দালালদের খপ্পরে পড়বেন না।”
আরও বলা হয়েছে, মৃত নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন মিসরের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির পর থেকে নথিবিহীন অভিবাসীদের জোয়ার শুরু হয়েছে গ্রিস এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইতালিতে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সম্প্রতি গ্রিসের সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে যারা লিবিয়া থেকে আগতদের আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে না। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 






































