বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মান্নার বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ

ছবি-সংগৃহীত

বগুড়ার শিবগঞ্জে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার রেজুলেশন তৈরি, স্বাক্ষর জাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শাহজাহান কবির বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ঋণ জালিয়াতি ও পুনঃতফসিলের অনিয়মের অভিযোগে মিল্লাত হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

 মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী জুলাই গণহত্যার ৯টি মামলার আসামি। তিনি এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও তার স্ত্রী ইসমত আরা ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। অথচ ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্যাংকে জমা দেয়া বোর্ড রেজুলেশনে তাদের বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক এলাকায় অবস্থিত আফাকু কোল্ড স্টোরেজের অফিসে উপস্থিত দেখিয়ে সভায় অংশগ্রহণ ও স্বাক্ষরের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
 
 এই মামলায় আফাকু কোল্ড স্টোরেজের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খানসহ ব্যাংকটির আরও ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
 
ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বড়গোলা শাখার দেয়া চিঠি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডকে ২২ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়। যা সুদ ও মুনাফাসহ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকায়। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ চিঠিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ছয়বার ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা পেয়েছে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা হয়েছে বলে খোদ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিঠিতে উল্লেখ করেছে।
 
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি পেয়েছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
জনপ্রিয়

চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক 

মান্নার বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

বগুড়ার শিবগঞ্জে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার রেজুলেশন তৈরি, স্বাক্ষর জাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শাহজাহান কবির বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ঋণ জালিয়াতি ও পুনঃতফসিলের অনিয়মের অভিযোগে মিল্লাত হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

 মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী জুলাই গণহত্যার ৯টি মামলার আসামি। তিনি এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও তার স্ত্রী ইসমত আরা ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। অথচ ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্যাংকে জমা দেয়া বোর্ড রেজুলেশনে তাদের বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক এলাকায় অবস্থিত আফাকু কোল্ড স্টোরেজের অফিসে উপস্থিত দেখিয়ে সভায় অংশগ্রহণ ও স্বাক্ষরের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
 
 এই মামলায় আফাকু কোল্ড স্টোরেজের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খানসহ ব্যাংকটির আরও ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
 
ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বড়গোলা শাখার দেয়া চিঠি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডকে ২২ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়। যা সুদ ও মুনাফাসহ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকায়। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ চিঠিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ছয়বার ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা পেয়েছে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা হয়েছে বলে খোদ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিঠিতে উল্লেখ করেছে।
 
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি পেয়েছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’