রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো শহীদ ওসমান হাদির জানাজা

ছবি-সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক জানাজার নামাজ পড়ান। ভিড় সামাল দিতে প্রতিটি প্রবেশপথে কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। দুপুর হতেই মানুষের স্রোতা দক্ষিণ প্লাজা ছাড়িয়ে খামারবাড়ি থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

 রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জানাজায় অংশ নিতে ছুটে আসেন মানুষ। তারা বলছেন, এই জানাজায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণজমায়েত হয়েছে।
 
এদিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে শহীদ হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। এরপর মরদেহের গোসলের কাজ শেষে দুপুর ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার জন্য নেয়া হয়।
 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, শহীদ ওসমান হাদির দাফন হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশেই।
 
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
 
১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ‌৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহীদ হাদির মরদেহ চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে। –সময় সংবাদ
জনপ্রিয়

দুপুরে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে সিইসির বৈঠক

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো শহীদ ওসমান হাদির জানাজা

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক জানাজার নামাজ পড়ান। ভিড় সামাল দিতে প্রতিটি প্রবেশপথে কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। দুপুর হতেই মানুষের স্রোতা দক্ষিণ প্লাজা ছাড়িয়ে খামারবাড়ি থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

 রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জানাজায় অংশ নিতে ছুটে আসেন মানুষ। তারা বলছেন, এই জানাজায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণজমায়েত হয়েছে।
 
এদিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে শহীদ হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। এরপর মরদেহের গোসলের কাজ শেষে দুপুর ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার জন্য নেয়া হয়।
 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, শহীদ ওসমান হাদির দাফন হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশেই।
 
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
 
১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ‌৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহীদ হাদির মরদেহ চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে। –সময় সংবাদ