রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের একমাত্র পুরুষমুক্ত দ্বীপ, যেখানে প্রাণ খুলে আনন্দ করে শুধুই নারীরা

ছবি-সংগৃহীত

পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, পুরো দ্বীপটি শুধুমাত্র নারীদের জন্য  পৃথিবীর একমাত্র এই দ্বীপ ‘সুপারশি আইল্যান্ড’ নারী মুক্তির একটি অনন্য প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যেখানে নারীরা স্বাধীনভাবে, সমাজের বন্ধন ছাড়িয়ে নিজস্ব ইচ্ছামত আনন্দ উপভোগ করেন। জীবনের নানা আনন্দ ও স্বাধীনতা কেবল পুরুষদের একচেটিয়া অধিকার নয় নারীও পৃথিবীর অর্ধেক অংশ। তবে বাস্তব জীবনে নানা সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে নারীরা সব সময় পূর্ণ স্বাধীনতা পায় না। ঠিক এই কারণেই ‘সুপারশি আইল্যান্ড’ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ফিনল্যান্ডের নারী উদ্যোক্তা ক্রিস্টিনা রউথ এই দ্বীপটি কিনে তা একেবারে নারীদের জন্য সাজিয়ে তোলেন। দ্বীপে আসা নারীরা এখানে তাদের ইচ্ছা মতো জীবনযাপন করতে পারেন, স্বাধীনভাবে আনন্দ-উৎসব, খাওয়া-দাওয়া এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারেন।

এই দ্বীপটি নারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং আত্মমুক্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। এখানে এসে নারীরা নিজেদের নতুনভাবে চিনতে পারেন, মনের ঘুমন্ত ইচ্ছাগুলো বাস্তবে রূপ পায়।

ক্রিস্টিনা রউথ প্রথম এই দ্বীপটি চিনে পেয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকের মাধ্যমে। পরে ক্রিস্টিনা নিজে দ্বীপটি কিনে পুরোপুরি পুরুষমুক্ত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। কেবল নারীরা এখানে এসে অর্থের বিনিময়ে তাদের মতো করে কিছু সময় কাটাতে পারেন।

সুপারশি আইল্যান্ড নারীদের চারধারে প্রকৃতি উপভোগ, বিনোদন এবং সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনের এক অনন্য সুযোগ দেয়। সমাজের বাঁধন ছাড়িয়ে কেবল নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এ ধরনের স্বাধীন স্থান পৃথিবীর খুব কম জায়গায়ই পাওয়া যায়।

এভাবেই ‘সুপারশি আইল্যান্ড’ নারীদের জন্য একান্ত আনন্দের স্বর্গীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে, যেখানে তারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেন পুরুষশূন্য এই স্বতন্ত্র পরিবেশে।

জনপ্রিয়

শূন্যরেখা অতিক্রম, বিজিবির হাতে বিএসএফ সদস্য আটক

বিশ্বের একমাত্র পুরুষমুক্ত দ্বীপ, যেখানে প্রাণ খুলে আনন্দ করে শুধুই নারীরা

প্রকাশের সময় : ১১:০১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, পুরো দ্বীপটি শুধুমাত্র নারীদের জন্য  পৃথিবীর একমাত্র এই দ্বীপ ‘সুপারশি আইল্যান্ড’ নারী মুক্তির একটি অনন্য প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যেখানে নারীরা স্বাধীনভাবে, সমাজের বন্ধন ছাড়িয়ে নিজস্ব ইচ্ছামত আনন্দ উপভোগ করেন। জীবনের নানা আনন্দ ও স্বাধীনতা কেবল পুরুষদের একচেটিয়া অধিকার নয় নারীও পৃথিবীর অর্ধেক অংশ। তবে বাস্তব জীবনে নানা সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে নারীরা সব সময় পূর্ণ স্বাধীনতা পায় না। ঠিক এই কারণেই ‘সুপারশি আইল্যান্ড’ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ফিনল্যান্ডের নারী উদ্যোক্তা ক্রিস্টিনা রউথ এই দ্বীপটি কিনে তা একেবারে নারীদের জন্য সাজিয়ে তোলেন। দ্বীপে আসা নারীরা এখানে তাদের ইচ্ছা মতো জীবনযাপন করতে পারেন, স্বাধীনভাবে আনন্দ-উৎসব, খাওয়া-দাওয়া এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারেন।

এই দ্বীপটি নারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং আত্মমুক্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। এখানে এসে নারীরা নিজেদের নতুনভাবে চিনতে পারেন, মনের ঘুমন্ত ইচ্ছাগুলো বাস্তবে রূপ পায়।

ক্রিস্টিনা রউথ প্রথম এই দ্বীপটি চিনে পেয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকের মাধ্যমে। পরে ক্রিস্টিনা নিজে দ্বীপটি কিনে পুরোপুরি পুরুষমুক্ত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। কেবল নারীরা এখানে এসে অর্থের বিনিময়ে তাদের মতো করে কিছু সময় কাটাতে পারেন।

সুপারশি আইল্যান্ড নারীদের চারধারে প্রকৃতি উপভোগ, বিনোদন এবং সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনের এক অনন্য সুযোগ দেয়। সমাজের বাঁধন ছাড়িয়ে কেবল নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এ ধরনের স্বাধীন স্থান পৃথিবীর খুব কম জায়গায়ই পাওয়া যায়।

এভাবেই ‘সুপারশি আইল্যান্ড’ নারীদের জন্য একান্ত আনন্দের স্বর্গীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে, যেখানে তারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেন পুরুষশূন্য এই স্বতন্ত্র পরিবেশে।