বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমান বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় অবস্থান করবেন: রিজভী

ছবি-সংগৃহীত

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনসমাগম যত বড়ই হোক, সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে হবে। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাবেন। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা করা যাবে না। তারেক রহমান তার মাকে দেখে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত সবাই শৃঙ্খলার সঙ্গে অবস্থান করবেন।

রিজভী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজ দেশ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তার আগমন উপলক্ষ্যে সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাকে একনজর দেখার জন্য ঢাকায় আসছেন।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার ছিল শেখ হাসিনারই সমর্থিত সরকার। সেই সরকারের সময় বিনা কারণে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়, নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হয়। সেই নির্যাতনের পর ওনাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দেশে ফিরতে বাধা দেয়। ১৭ বছর ধরে তাকে তার পরিবার, দেশ ও মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, এমনকি ছোট ভাইয়ের লাশ ও জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।

রিজভী বলেন, জিয়া পরিবার বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবার। এই পরিবারই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন নির্ভীক সৈনিকের মতো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন। এই পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা কোনো চক্রান্ত বাদ দেয়নি।

তারেক রহমানের আগমন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে নেমে বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পথে ৩০০ ফিট এলাকায় উপস্থিত জনসমাগমের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। এরপর তিনি তার মাকে দেখে বাসায় ফিরবেন।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা সরকারের কাছে তার পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি। সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দলীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা তার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবেন।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপির আইটি সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তা প্রমুখ।

জনপ্রিয়

ডেইলি স্টার ভবনে হামলার ঘটনায় আকাশ গ্রেপ্তার

তারেক রহমান বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় অবস্থান করবেন: রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনসমাগম যত বড়ই হোক, সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে হবে। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাবেন। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা করা যাবে না। তারেক রহমান তার মাকে দেখে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত সবাই শৃঙ্খলার সঙ্গে অবস্থান করবেন।

রিজভী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজ দেশ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তার আগমন উপলক্ষ্যে সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাকে একনজর দেখার জন্য ঢাকায় আসছেন।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার ছিল শেখ হাসিনারই সমর্থিত সরকার। সেই সরকারের সময় বিনা কারণে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়, নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হয়। সেই নির্যাতনের পর ওনাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দেশে ফিরতে বাধা দেয়। ১৭ বছর ধরে তাকে তার পরিবার, দেশ ও মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, এমনকি ছোট ভাইয়ের লাশ ও জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।

রিজভী বলেন, জিয়া পরিবার বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবার। এই পরিবারই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন নির্ভীক সৈনিকের মতো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন। এই পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা কোনো চক্রান্ত বাদ দেয়নি।

তারেক রহমানের আগমন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে নেমে বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পথে ৩০০ ফিট এলাকায় উপস্থিত জনসমাগমের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। এরপর তিনি তার মাকে দেখে বাসায় ফিরবেন।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা সরকারের কাছে তার পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি। সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দলীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা তার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবেন।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপির আইটি সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তা প্রমুখ।