
দেলোয়ার হোসেন , ঢাকা ব্যুরো
কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের অধিগ্রহণকৃত জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ না করে বালু ভরাটের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। অধিগ্রহণকৃত জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় মানবতাবেতর জীবন যাপন করছে এলাকার অর্ধশত ভুক্তভোগী। তাদের দাবি কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের জন্য সরকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পশ্চিমদি মৌজায় ২০০ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৮৮.৬০ একর জমি অধিগ্রহণের পর ২০২৩ সালে বাকি ১১.৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। উক্ত জমির মধ্যে পশ্চিমদী মৌজার ঘোষকান্দা গ্রামের বাসিন্দাদের জমি রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণের টাকা এবং জমির উপর থাকা স্থাপনার ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জগন্নাথ কর্তৃপক্ষ বালু ভরাট করছে।
আজ ২৪ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঘোষকান্দা এলাকায় মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
ঘোষকান্দা গ্রামের বাসিন্দা তারামিয়া জানায়, তার ১১ শতাংশ জমির উপর তারা মিয়া এগ্রো ফার্ম রয়েছে। ফার্মের ক্ষতিপূরণ ও অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য না দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জোরপূর্বক তার জমিতে বালু ভরাট করছে। কাজল এগ্রো ফার্ম ও জান্নাত মুরগি ফার্মের মালিক কালামিয়া জানায়, তার ২২ শতাংশ জমির উপর তিনি এ দুটি ফার্ম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ক্ষতিপূরণ না পেয়ে তারা এখন অসহায়। মানবতার জীবন যাপন করছেন। ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য ডিসি অফিসের এল এ শাখায় ঘোরাঘুরি করেও টাকা পাননি। জামির এগ্রো ফার্মের মালিক শাজাহান মিয়া জানায়, তার ১৪ শতাংশ জমির উপর তৈরি ফার্মে ৩০ টি গরু পালতেন। জমি অধিগ্রহণের পর আটটি গরু চুরি হয়ে গেছে। এখনো স্থাপনার ক্ষতিপূরণ পাননি। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী রওশান আলী জানায়, তার বিশ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের টাকা এবং পাঁচতলা ভবনের ক্ষতিপূরণ পাননি। কেরামত আলী জানায়, তার ৬শতাংশ জমির উপর সাত তালা ভবন রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ভবনের ক্ষতিপূরণের টাকা না দিলে জমি অধিগ্রহণ করতে দিবেন না।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ রাজস্ব সার্কেল (ভূমি) আফতাব আহমেদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে বিষয়টি তার জানা আছে। তবে ক্ষতিপূরণ পাননি এবং মানববন্ধনের বিষয়টি তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালায় নেজারত ও এলএ (সাধারণ) শাখার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো: আব্দুল হালিম আমার দেশকে বলেন, যদি কোন জমির মালিক অধিগ্রহণের টাকা অথবা স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে থাকে তাহলে সে টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রয়েছে। জমির মালিক যদি সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন করেন তাহলে তাহলে যাচাই-বাছাই করে টাকা দেওয়া হবে। তিনি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণকে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যুরো 






































