মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপরে অতর্কিত হামলা, গুরুতর আহত ২

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় হেযবুত তওহীদের দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার (২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫) বিকাল চারটার দিকে ফরিদপুর সদরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে। সেখানে রিকশায় করে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বক্তব্যসম্বলিত সাউন্ড প্লেয়ার বাজাচ্ছিলেন সংগঠনের স্থানীয় দুই সদস্য মাহিদুর রহমান মৃদুল ও জিহাদ মোল্লা। এসময় ধর্মীয় লেবাসধারী ৮-১০ জন মোল্লা-মৌলভী তাদের পথরোধ করে এবং বক্তব্য প্রচার বন্ধ করতে বলে। আমাদের শান্তিপ্রিয় সদস্যরা কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়ানোর স্বার্থে সাউন্ড প্লেয়ার বন্ধ করে দেন। পরে আমাদের উক্ত কর্মীদ্বয় ফিরে আসার সময় বিকাল সাড়ে চারটায় চরকমলাপুর এলাকায় ওই লেবাসধারী ব্যক্তিরা আবার তাদের পথরোধ করে। তারা আমাদের কর্মীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এসময় তাদের উস্কানিতে আরো ১০-১২ জন তরুণ ও যুবক ঘটনাস্থলে আসে এবং আমাদের দুই কর্মীর উপর হামলা চালায়। ইতোমধ্যে আমাদের আরো ৪-৫ জন কর্মী সেখানে উপস্থিত হোন। তারা হামলাকারীদেরকে নিবৃত্ত করতে গেলে তাদের উপরও আক্রমণ করা হয়। এসময় আমাদের কর্মীরা আত্মরক্ষার স্বার্থে হামলাকারীদের প্রতিহত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। এই হামলার ঘটনায় জিহাদ মোল্লা (২৫) ও সুজন শেখ (৩০) নামে আমাদের দুইজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমরা হেযবুত তওহীদ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলছি, কতিপয় লেবাসধারী ধর্মব্যবসায়ীর উস্কানিতে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। হেযবুত তওহীদ একটি শান্তিপ্রিয় সংগঠন। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের প্রচার ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করি। ফরিদপুরে আমাদের জনসভা, আলোচনা সভা বা এ জাতীয় কোনো কর্মসূচি ছিল না। স্থানীয়ভাবে সাউন্ড প্লেয়ারে আমাদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের ভাষণ প্রচার করা হচ্ছিল। আমাদের এতটুকু প্রচারকাজেও যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়, তাহলে বুঝতে হবে- তারা মত প্রকাশ এবং ব্যক্তি ও সংগঠনের বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা চায়, কেবল তাদের বক্তব্যই প্রচার হবে, অন্য কারো বক্তব্য নয়। আমরা এ ধরনের অসহিষ্ণু আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।

উপরন্তু আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, বেশ কিছু গণমাধ্যমে উক্ত ঘটনা উল্লেখ এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যে- “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার উপর হামলা করেছে হেযবুত তওহীদের কর্মীরা।” এটা সর্বৈব মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ। আমাদের কর্মীরা নিজেরা যেখানে আক্রান্ত, সেখানে এক পক্ষের কথা শুনে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকেই হামলাকারী হিসেবে প্রচার করা কেবল হলুদ সাংবাদিকতা নয়, এটা গুরুতর অপরাধ। তাছাড়া উক্ত হামলাকারীরা কোনো সংগঠনের সদস্য কি না, তা জানার সুযোগ আমাদের আক্রান্ত কর্মীদের ছিল না। কারণ তারা অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছে। অথচ এমনভাবে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা পাঠ করলে মনে হবে- আমাদের সদস্যরা জেনেশুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সাথে সংঘর্ষ করেছে। আমরা এহেন মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সর্বোপরি উক্ত ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক হামলাকারী ও উস্কানিদাতাদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা ফরিদপুরের স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
জনপ্রিয়

১০ দলীয় সমঝোতায় সিরাজগঞ্জের তিন আসনে এনসিপির প্রার্থিতা প্রত্যাহার

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপরে অতর্কিত হামলা, গুরুতর আহত ২

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় হেযবুত তওহীদের দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার (২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫) বিকাল চারটার দিকে ফরিদপুর সদরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে। সেখানে রিকশায় করে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বক্তব্যসম্বলিত সাউন্ড প্লেয়ার বাজাচ্ছিলেন সংগঠনের স্থানীয় দুই সদস্য মাহিদুর রহমান মৃদুল ও জিহাদ মোল্লা। এসময় ধর্মীয় লেবাসধারী ৮-১০ জন মোল্লা-মৌলভী তাদের পথরোধ করে এবং বক্তব্য প্রচার বন্ধ করতে বলে। আমাদের শান্তিপ্রিয় সদস্যরা কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়ানোর স্বার্থে সাউন্ড প্লেয়ার বন্ধ করে দেন। পরে আমাদের উক্ত কর্মীদ্বয় ফিরে আসার সময় বিকাল সাড়ে চারটায় চরকমলাপুর এলাকায় ওই লেবাসধারী ব্যক্তিরা আবার তাদের পথরোধ করে। তারা আমাদের কর্মীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এসময় তাদের উস্কানিতে আরো ১০-১২ জন তরুণ ও যুবক ঘটনাস্থলে আসে এবং আমাদের দুই কর্মীর উপর হামলা চালায়। ইতোমধ্যে আমাদের আরো ৪-৫ জন কর্মী সেখানে উপস্থিত হোন। তারা হামলাকারীদেরকে নিবৃত্ত করতে গেলে তাদের উপরও আক্রমণ করা হয়। এসময় আমাদের কর্মীরা আত্মরক্ষার স্বার্থে হামলাকারীদের প্রতিহত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। এই হামলার ঘটনায় জিহাদ মোল্লা (২৫) ও সুজন শেখ (৩০) নামে আমাদের দুইজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমরা হেযবুত তওহীদ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলছি, কতিপয় লেবাসধারী ধর্মব্যবসায়ীর উস্কানিতে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। হেযবুত তওহীদ একটি শান্তিপ্রিয় সংগঠন। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের প্রচার ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করি। ফরিদপুরে আমাদের জনসভা, আলোচনা সভা বা এ জাতীয় কোনো কর্মসূচি ছিল না। স্থানীয়ভাবে সাউন্ড প্লেয়ারে আমাদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের ভাষণ প্রচার করা হচ্ছিল। আমাদের এতটুকু প্রচারকাজেও যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়, তাহলে বুঝতে হবে- তারা মত প্রকাশ এবং ব্যক্তি ও সংগঠনের বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা চায়, কেবল তাদের বক্তব্যই প্রচার হবে, অন্য কারো বক্তব্য নয়। আমরা এ ধরনের অসহিষ্ণু আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।

উপরন্তু আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, বেশ কিছু গণমাধ্যমে উক্ত ঘটনা উল্লেখ এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যে- “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার উপর হামলা করেছে হেযবুত তওহীদের কর্মীরা।” এটা সর্বৈব মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ। আমাদের কর্মীরা নিজেরা যেখানে আক্রান্ত, সেখানে এক পক্ষের কথা শুনে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকেই হামলাকারী হিসেবে প্রচার করা কেবল হলুদ সাংবাদিকতা নয়, এটা গুরুতর অপরাধ। তাছাড়া উক্ত হামলাকারীরা কোনো সংগঠনের সদস্য কি না, তা জানার সুযোগ আমাদের আক্রান্ত কর্মীদের ছিল না। কারণ তারা অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছে। অথচ এমনভাবে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা পাঠ করলে মনে হবে- আমাদের সদস্যরা জেনেশুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সাথে সংঘর্ষ করেছে। আমরা এহেন মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সর্বোপরি উক্ত ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক হামলাকারী ও উস্কানিদাতাদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা ফরিদপুরের স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।