বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতির এক অদম্য নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সংবাদটি নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে, এটা আমরা কখনো ভাবিনি। আমরা এবারও আশা করছিলাম ঠিক আগের মতোই আবারও তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমরা মহা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে। ইতোমধ্যে আপনারা শুনেছেন ডক্টর শাহাবুদ্দিনের ঘোষণা। আজ ভোর ৬টায় আমাদের গণতন্ত্রের মা, আমাদের অভিভাবক, আমাদের জাতির অভিভাবক আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে… ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইল্লা ইলাইহি রাজিউন।

তিনি বলেন, এই শোক, এই ক্ষতি এটা অস্বাভাবিক-অপূরণীয়। এই জাতি কোনোদিন এটা পূরণ করতে পারবে না। যে নেত্রী তার সারাজীবন জনগণের অধিকারের জন্য, কল্যাণের জন্য, তার সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে নেই। এটা আমরা তার সহকর্মী এবং রাজনৈতিক কর্মী, আমরা ভাবতে পারি না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো। শুধু তাই নয়, গণতান্ত্রিক পৃথিবীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস আমাদেরকে ফোন করেছিলেন। ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সকাল সাড়ে ১০টায় তারা একটা স্পেশাল ক্যাবিনেট মিটিং করবেন। সেই ক্যাবিনেট মিটিংয়ে তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে শেষ কাজগুলো, তার জানাজা, তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা, তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া এই বিষয়গুলো নিয়ে একটা সভা করবেন। এরপর আমরা পুরো জিনিসটাকে কো-অর্ডিনেট করে আবার সেটা আপনাদের সামনে জানাব।

জনপ্রিয়

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শতাধিক

সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১১:৫৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতির এক অদম্য নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সংবাদটি নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে, এটা আমরা কখনো ভাবিনি। আমরা এবারও আশা করছিলাম ঠিক আগের মতোই আবারও তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমরা মহা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে। ইতোমধ্যে আপনারা শুনেছেন ডক্টর শাহাবুদ্দিনের ঘোষণা। আজ ভোর ৬টায় আমাদের গণতন্ত্রের মা, আমাদের অভিভাবক, আমাদের জাতির অভিভাবক আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে… ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইল্লা ইলাইহি রাজিউন।

তিনি বলেন, এই শোক, এই ক্ষতি এটা অস্বাভাবিক-অপূরণীয়। এই জাতি কোনোদিন এটা পূরণ করতে পারবে না। যে নেত্রী তার সারাজীবন জনগণের অধিকারের জন্য, কল্যাণের জন্য, তার সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে নেই। এটা আমরা তার সহকর্মী এবং রাজনৈতিক কর্মী, আমরা ভাবতে পারি না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো। শুধু তাই নয়, গণতান্ত্রিক পৃথিবীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস আমাদেরকে ফোন করেছিলেন। ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সকাল সাড়ে ১০টায় তারা একটা স্পেশাল ক্যাবিনেট মিটিং করবেন। সেই ক্যাবিনেট মিটিংয়ে তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে শেষ কাজগুলো, তার জানাজা, তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা, তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া এই বিষয়গুলো নিয়ে একটা সভা করবেন। এরপর আমরা পুরো জিনিসটাকে কো-অর্ডিনেট করে আবার সেটা আপনাদের সামনে জানাব।