
যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে ভারতীয় ফেনসিডিল, বিভিন্ন প্রকার মদ, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা, সাপের বিষ, আনাগ্রা, ভায়াগ্রা, সেনেগ্রা রয়েছে। বুধবার দুপুরে ৪৯ বিজিবি যশোর দপ্তরের বাস্কেট গ্রাউন্ড প্রাঙ্গণে এই মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল. মামুনুর রশীদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৪৯ বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল, ৪৯ বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়ন অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মো. সেলিমুদ্দোজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ইউসুফ মিয়া, প্রেসক্লাবের যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারন সাধারন তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।
যশোরে ৬ বছর ধরে জব্দ করা মাদক একসঙ্গে ধ্বংসবিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল. মামুনুর রশীদ বলেন, মাদকাসক্তের কারনে একটি সমাজ দেশ ও জাতী ধ্বংস হয়। তাই বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবির সদস্যরা গত ২০১৭ সালের পহেলা মে থেকে চলতি বছরের পহেলা মে পর্যন্ত ৬ বছরে বিপুল পরিমান মাদা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি টাকা।
ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যে হলো ফেন্সিডিল ৭৫ হাজার ৫ বোতল, বিভিন্ন প্রকার মদ ৫ হাজার ৫১৩ বোতল, গাঁজা ১ হাজার ৭০৩ কেজি, হিরোইন ৭ হাজার ৯৮২ কেজি, ইয়াবা ট্যবলেট ২১ হাজার ৫ পিস, ভারতীয় ভায়াগ্রা ট্যাবলেট ৬৯ হাজার ৫০ পিস, বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ৩ হাজার ৭ পিস, সিরাপ-১ এবং সাপের বিষ ১ পাউন্ড।#
অস্ত্র মামলায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী শুভর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
যশোরের অস্ত্র মামলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি শুভর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামির রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন। শুভ শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকার রবির ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ৪ মে রাতে র্যাব-৬ যশোরের একটি দল শংকরপুর ইসহক সড়কের ব্যবসায়ী আশরাফুল হাসান বিপ্লবের ফারদিন গ্লাস এন্ড প্লাস্টিক স্টোরের পাশ থেকে দুইটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী বিপ্লবকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিলো। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ জুম্মান, আরমান ও রাহাতকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সত্যতা পেয়ে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে শুভসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে শুভ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শফি আহমেদ রিয়েল আসামি শুভর ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে গহ ৬ জুলাই আদালতে আবেদন করেন। গতকাল আসামির রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। #
ভোরন পোষন না দেয়ায় ছেলে হামিদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পিতা
যশোরে ভোরন পোষন না দেয়ায় ছেলে আব্দুল হামিদসহ চার জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেছেন পিতা। বুধবার ছৌগাছার পাতিবিলা গ্রামের বৃদ্ধ মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোটি আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।আসামিরা হলো আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী তহমিনা খাতুন, ছেলে আমির হামজা ও তার স্ত্রী সুমনা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মতিয়ার রহমান বৃদ্ধ হওয়ায় কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করা তার পক্ষে খুবই কঠিন। তিনি বসবামের বাড়িতে পাকা ঘর করেছেন। তাবে তার ছেলে ও পুতা ছেলেরা বসবাস করে। ২০০৯ সালে আসামি আব্দুল হামিদ তাকে ভুল বুঝিয়ে মাঠের ৯৪ শতকসহ বাড়ির জমি তার নামে লিখে নেয়। এছাড়াও নগদ ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা নিয়ে তার আর ফেরত দেয়নি। বেশ কিছুদিন হলো আসামিরা তাকে ঠিকমত ভোরন পোষন দেয় না। নানা অজুহাতে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। গত ৫ জুন আসামিরা একত্রিত হয়ে বৃদ্ধ মতিয়ার রহমানকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে তিনি বাড়ি ছাড়া হয়ে অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে। বাড়ি গেলে আসামিরা তাকে খুন-জখম করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। মতিয়ার রহমান নিরুপায় হয়ে ভোরন পোষনের দাবিতে আদালতে এ মামলা করেছেন। #
বাড়িতে বোমা হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মণিরামপুরের কাজিয়াড়া গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের বাড়িতে বোমা হামলা, ভাংচুর লুটপাট ও মারপিটের ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে মণিরামপুর থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, কাজিয়াড়া গ্রামের ইমান মোল্যার ছেলে আসাদ, মৃত খাজা গাজীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে কিতাবুল, মৃত জব্বার মোল্যার ছেলে ইমান, বেলায়েত হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন, সিরাজুল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন, ওয়াদুদ ও তার ছেলে মোকাররম, আসাদ মোল্যার ছেলে আকাশ, ইমান আলীর ছেলে ইয়াসিন, বাজিতপুর গ্রামের মনোরঞ্জন ঠাকুরের ছেলে সোনাতন, নেহালপুর গ্রামের মানিক গাজীর ছেলে আরিফ হোসেন, আফজাল হোসেনের ছেলে শরিফ হোসেন ও দত্তকোনা গ্রামের মিন্টু গাজীর ছেলে তামিম হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামিরা এলাকার চিহ্নত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। আসামিদের মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে তৌহিদুল ইসলামের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে আসাছিল। গত ৪ জুলাই সন্ধ্যায় উল্লোখিত আসামিরাসহ অপরিচিত ৫০/৬০ জন তৌহিদুলের বাড়িতে হামলা করে। এসময় হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, বাড়ির লোকজনদের মারপিট করে। এর মধ্যে ৯৯৯ কল করলে পুলিশ ও আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন। #
যশোরে যৌতুক দাবির অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা
যৌতুক দাবির অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী কাজী সাদিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী। বুধবার যশোর শহরের চুড়িপট্টির জাকির হোসেনের মেয়ে তাসিন ফাতিহা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। কাজী সাদিকুর রহমান সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুর গ্রামের কাজী আনিছুর রহমানের ছেলে। তিনি স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক প্রধাণ ব্যাঞ্চের ট্রেড অপারেশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২২ মে পারিবাকি ভাবে ফাতিহাকে বিয়ে করেন আসামি সাদিকুর। বিয়ের আগে আসামি সাদিকুর নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যৌতুক ছাড়াই বিয়ে করেছিলেন ফাতিহাকে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বেশ কিছুদিন ধলে সাদিকুর রহমান তার স্ত্রীর কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাত সহ্য করে ফাতিহা সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর সংসার করে আসছিলেন। দুই মাস আসে সাদিকুর রহমান তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকরে ২ লাখ টাকা দাবি করে না পেয়ে স্ত্রীকে পিতার বাড়ি তাড়িয়ে দেন। গত ১ জুলাই সাদিকুর রহমানকে সংবাদ দিয়ে যশোর আনা হয়। যৌতুকের দাবি পরিহার করে সংসার করার অনুরোধ করা হলে তিনি যৌতুক ছাড়া তার স্ত্রীকে নিবেনা বলে জানিয়ে চলে যান। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেছেন। #
যশোরে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য খুন করা হয় চালক বুলবুলকে
যশোরে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য খুন করা হয় যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট এলাকার চালক বুলবুলকে। এজন্য এক মাস আগে থেকে তার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে ঘাতকরা। এরপর ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যার ইজিবাইকটি নিয়ে যায় ৭ ঘাতক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ঘাতকদের। মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে সকলকে গ্রেফতার ও ইজিবাইকটি উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোছাইন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পুরাখালী গ্রামের সাত্তার আলী গাজীর ছেলে এসার আলী (৩১), নৈকাটি গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে আকবর গাজী (২৮) ও ইব্রাহিম গাজী (২৪), নড়াইলের কালনা উপজেলার সিলিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মাহমুদ ওরফে মামুন (৩৮), যশোর শহরের শংকরপুর মেডিকেল কলেজপাড়া এলাকার শহর আলীর ছেলে শুকুর আলী (২০), শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ পশ্চিমপাড়ার মৃত মাকসাদ আলীর ছেলের জুয়েল (৩৮) ও শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে হৃদয় (২৩)।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে যশোর শহরের বকচর করিম পাম্পের সামনে থেকে ইজিবাইক চালক বুলবুল হোসেন নিখোঁজ হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক স্থানে খোঁজ করে। ব্যর্থ হয়ে পরের দিন রোববার তার ভাই ফরহাদ কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। এরপর ১০ জুলাই সন্ধ্যার আগে সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকার একটি পাট ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই লাশটি ইজিবাইক চালক বুলবুলের বলে সনাক্ত করে তার ভাই ফরহাদ। এরপর বুলবুলের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ এবং হত্যার সাথে জড়িত এসার আলী, মাহমুদ ওরফে মামুন, শুকুর আলী, জুয়েল, হৃদয়, আকবার গাজী ও ইব্রাহিম গাজীকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, ঘাতকরা বুলবুলকে ডেকে এনে তার ইজিবাইকে সারা শহর ঘুরে বেড়ায়। একপর্যায় কোমল পানীয়ের সাথে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করায়। এরপর গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুলবুলের লাশ পাট ক্ষেতে ফেলে ইজিবাইক নিয়ে যায় এবং সেটি সাতক্ষীরায় বিক্রি করে। ডিবি পুলিশের চৌকস টিম ইজিবাইকটিও উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের এ মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান।#
যশোর অফিস ।। 







































