মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ

নুরুজ্জামান লিটন :=

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে কি না জানতে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলায় বুধবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ কথা বলেন। তবে নতুন আইনের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত।

তিন সদস্যের বেঞ্চ বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা যায় কি না এ বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টে নতুন আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই ৬০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ দিন মামলাগুলোর সংক্ষিপ্ত শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২২ জানুয়ারি। ওই দিনই শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শুরু হয়। এর পরই ওই আইনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একের পর মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, আসামে বিজেপি জোট সরকারের শরিক দল আসাম গণপরিষদ (আগপ) এবং ডিএমকে। কংগ্রেসের পক্ষে প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশও একই আবেদন জানিয়েছেন।

নতুন আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে সব মামলা দায়ের হয়েছে, সবগুলোর দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের মূল কাঠামোটাকেই অস্বীকার করেছে। ধর্ম কখনওই নাগরিকত্ব নির্ধারণের ভিত্তি হতে পারে না। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন রাজ্য গঠনের সময়েও ধর্মকে নয়, গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল ভাষাকেই।

নতুন আইন নিয়ে সংসদে বিতর্কের সময়েও একই কথা বলেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। কংগ্রেস এমপি আনন্দ শর্মা বলেছিলেন, এর ফলে সংবিধানের মর্মমূলেই আঘাত করা হল। তৃণমূল এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, এটা তো একেবারে নাৎসিদের মতো কাজ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯
নুরুজ্জামান লিটন :=

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে কি না জানতে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলায় বুধবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ কথা বলেন। তবে নতুন আইনের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত।

তিন সদস্যের বেঞ্চ বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা যায় কি না এ বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টে নতুন আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই ৬০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ দিন মামলাগুলোর সংক্ষিপ্ত শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২২ জানুয়ারি। ওই দিনই শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শুরু হয়। এর পরই ওই আইনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একের পর মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, আসামে বিজেপি জোট সরকারের শরিক দল আসাম গণপরিষদ (আগপ) এবং ডিএমকে। কংগ্রেসের পক্ষে প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশও একই আবেদন জানিয়েছেন।

নতুন আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে সব মামলা দায়ের হয়েছে, সবগুলোর দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের মূল কাঠামোটাকেই অস্বীকার করেছে। ধর্ম কখনওই নাগরিকত্ব নির্ধারণের ভিত্তি হতে পারে না। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন রাজ্য গঠনের সময়েও ধর্মকে নয়, গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল ভাষাকেই।

নতুন আইন নিয়ে সংসদে বিতর্কের সময়েও একই কথা বলেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। কংগ্রেস এমপি আনন্দ শর্মা বলেছিলেন, এর ফলে সংবিধানের মর্মমূলেই আঘাত করা হল। তৃণমূল এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, এটা তো একেবারে নাৎসিদের মতো কাজ।