রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিনয় আর মিষ্টি হাসি দিয়ে কোটি মানুষের মন জয় করেছিলেন ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী

অভিনয় দিয়ে তিনি মানুষকে যতটা প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন, তেমনটা আর কেউ পারেননি।’ কবরী প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা। অভিনয় আর মিষ্টি হাসি দিয়ে যিনি কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী।

১৯৫০ সালের আজকের এই দিনে (১৯ জুলাই) চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। আজ এই কিংবদন্তি তারকার জন্মদিন। কবরী নামে তিনি জনপ্রিয় হলেও তার আসল নাম ছিল মিনা পাল। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। সেসময় তার নাম পাল্টে কবরী রাখা হয়। প্রথম সিনেমাতেই তিনি দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় তিনি ছাড়িয়ে যান অনেককে।

সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শহুরে মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তরাও কবরীকে যতটা নিজেদের মানুষ হিসেবে ভাবতে পেরেছিলেন, ততটা হয়তো বাংলাদেশের সিনেমা জগতে অন্য কোনো অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে পারেননি। আর তাই ‘মিষ্টি মেয়ে’ নামেই তিনি দর্শকের কাছে বেশি পরিচিত ছিলেন।

‘মিষ্টি মেয়ে’ ছাড়া তিনি ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’ হিসেবেও খ্যাত ছিলেন। কারণ তার চেহারায়, আচরণে, অভিনয়ে সেই বিষয়টা ছিল। খুব বেশি মেক আপ করতো না, এমনকি চুলটাও একদম সাধারণ একটা মেয়ের মত রাখতো। যার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে খুব আপন হয়ে ধরা দিতো।

কৈশোর আর যৌবনের পাট চুকিয়ে ফেলার পরও ‘মিষ্টি মেয়ে’ হিসেবে কবরীর সেই গ্রহণযোগ্যতা সবসময়ই ছিল। ২০১১ সালেও এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, এখনও দেখা হলে কেউ কেউ বলে- ‘আপনি ঠিক আগের মতই আছেন।’ কিন্তু কেউ কি কখনো একরকম থাকতে পারে! তখন আমি তাকে বলি, ‘আপনি আমাকে ভীষণ ভালোবাসেন বলেই এরকম মনে হয়।’

‘সুতরাং’ সিনেমারর পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপরের দুই দশকে ‘রংবাজ’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সুজন সখী’, ‘সারেং বৌ’য়ের মত বহু ব্যবসা সফল এবং আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেন। সাত দশকের জীবনের সাড়ে পাঁচ দশক তিনি সিনেমার সঙ্গেই কাটিয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশের সিনেমায় ‘নায়ক রাজ’ হিসেবে পরিচিত রাজ্জাকের সঙ্গে তার জুটি এখন পর্যন্ত নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আলোচিত জুটি। বাংলাদেশের সিনেমায় কিংবদন্তী তুল্য এই জুটি দর্শকদের কাছে যতটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল, তার ধারে কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি আর কোনো জুটি।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ট্রাকভর্তি জীবিত গলদা চিংড়ি চুরি

অভিনয় আর মিষ্টি হাসি দিয়ে কোটি মানুষের মন জয় করেছিলেন ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

অভিনয় দিয়ে তিনি মানুষকে যতটা প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন, তেমনটা আর কেউ পারেননি।’ কবরী প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা। অভিনয় আর মিষ্টি হাসি দিয়ে যিনি কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী।

১৯৫০ সালের আজকের এই দিনে (১৯ জুলাই) চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। আজ এই কিংবদন্তি তারকার জন্মদিন। কবরী নামে তিনি জনপ্রিয় হলেও তার আসল নাম ছিল মিনা পাল। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। সেসময় তার নাম পাল্টে কবরী রাখা হয়। প্রথম সিনেমাতেই তিনি দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় তিনি ছাড়িয়ে যান অনেককে।

সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শহুরে মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তরাও কবরীকে যতটা নিজেদের মানুষ হিসেবে ভাবতে পেরেছিলেন, ততটা হয়তো বাংলাদেশের সিনেমা জগতে অন্য কোনো অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে পারেননি। আর তাই ‘মিষ্টি মেয়ে’ নামেই তিনি দর্শকের কাছে বেশি পরিচিত ছিলেন।

‘মিষ্টি মেয়ে’ ছাড়া তিনি ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’ হিসেবেও খ্যাত ছিলেন। কারণ তার চেহারায়, আচরণে, অভিনয়ে সেই বিষয়টা ছিল। খুব বেশি মেক আপ করতো না, এমনকি চুলটাও একদম সাধারণ একটা মেয়ের মত রাখতো। যার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে খুব আপন হয়ে ধরা দিতো।

কৈশোর আর যৌবনের পাট চুকিয়ে ফেলার পরও ‘মিষ্টি মেয়ে’ হিসেবে কবরীর সেই গ্রহণযোগ্যতা সবসময়ই ছিল। ২০১১ সালেও এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, এখনও দেখা হলে কেউ কেউ বলে- ‘আপনি ঠিক আগের মতই আছেন।’ কিন্তু কেউ কি কখনো একরকম থাকতে পারে! তখন আমি তাকে বলি, ‘আপনি আমাকে ভীষণ ভালোবাসেন বলেই এরকম মনে হয়।’

‘সুতরাং’ সিনেমারর পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপরের দুই দশকে ‘রংবাজ’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সুজন সখী’, ‘সারেং বৌ’য়ের মত বহু ব্যবসা সফল এবং আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেন। সাত দশকের জীবনের সাড়ে পাঁচ দশক তিনি সিনেমার সঙ্গেই কাটিয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশের সিনেমায় ‘নায়ক রাজ’ হিসেবে পরিচিত রাজ্জাকের সঙ্গে তার জুটি এখন পর্যন্ত নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আলোচিত জুটি। বাংলাদেশের সিনেমায় কিংবদন্তী তুল্য এই জুটি দর্শকদের কাছে যতটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল, তার ধারে কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি আর কোনো জুটি।