
গবেষকরা বলছেন, কার্বন নিঃসরণের ৪০ শতাংশের জন্য দায়ী তেল ও গ্যাস শিল্প। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষ। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
গবেষকরা বলছেন, এক হাজার টন জীবাশ্ম কার্বন নিঃসরণে একজনের অকাল মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিওর অধ্যাপক জশুয়া পিয়ার্স বলেন, ‘‘যদি আপনি এই ‘এক হাজার টন’ এর বৈজ্ঞানিক সূ্ত্রটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন এব হিসেব করেন, দেখবেন আগামী শতকে ১০০ কোটি মানুষের অকাল মৃত্যু হতে পারে। তাই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং দ্রুত নিতে হবে।
পিয়ার্স আশা করছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা নতুন আঙ্গিকে ও হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরলে হয়তো নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা বুঝবে যে মানবজাতি কতটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মডেল ও পূর্বাভাস যেহেতু এখন অনেকটাই পরিষ্কার, তাই এটা স্পষ্ট যে আমাদের সন্তান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের পদক্ষেপের ওপর কতটা নির্ভরশীল।
গবেষকরা বলছেন, পদক্ষেপ ও ফলের এই সম্পর্ক যখন সবাই বুঝতে পারবেন তখন গ্রিনহাউস গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব আর কেউ উপেক্ষা করতে পারবে না। গবেষণায় দেখা যায়, ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এখনই কমাতে হবে এবং পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে।
ঢাকা ব্যুরো।। 







































