মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ১৯৩ রানে অল আউট

নাসিম শাহ আর হারিস রউফের পেস তোপে শুরুতেই ধুঁকছিল বাংলাদেশ। মাঝে বিরতি দিয়ে দাপটটা ধরে রাখে তারা। যে কারণে পুঁজিটা বড় করতে পারল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ১৯৩ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারও খেলতে পারেননি দেশের ক্রিকেটাররা। ৩৮.৪ ওভারেই গুটিয়ে গেছে সাকিবের দল।

দলের বিপদের সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন ক্যাপ্টেন। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১২০ বলে ১০০ রানের জুটি গড়ে দলকে যোগান সাহস। তারপরও দলীয় স্কোর বড় হয়নি। সম্মানজনক স্কোরে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। সাকিবদের মূলত ধসিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের পেসাররা। ৯ উইকেটই গেছে পেসারদের পকেটে। হারিস রউফের ৪ উইকেটের সঙ্গে ৩ উইকেট শিকার করেন নাসিম শাহ।

সাকিব সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৫৩ রানের দুর্বার এক ইনিংস। ৫৭ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারির মার। তার সঙ্গী মুশফিক এখনো ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন। ৮৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান সামনে। সাকিবের মতো এ উইকেটরক্ষক ব্যাটারও সেঞ্চুরি মিস করেন। ব্যাটিং নৈপুণ্যের আভাস দিয়েও শামীম হোসেন পাটোয়ারী আউট হন মাত্র ১৬ বলে।

সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের শুরুতে যেন পাকিস্তান বোলারদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পাড়ছিল না বাংলাদেশ। শাহীন আফ্রিদি, নাসিম ও হারিসের পেস আগ্রাসনে পুড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লেতেই হারিয়েছে চার উইকেট। থিতু হয়ে ফিরে গেছেন লিটন-নাঈম। পরে সাকিব-মুশফিকের ব্যাটিং দৃঢ়তায় থেমে যায় ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রানই তুলতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম। পরের ওভারে স্টাইকিং পজিশনে এসেই ক্যাচ তোলে দিয়েছেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর উইকেটে এসে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হন লিটন দাস। তবে পাকিস্তানের আগ্রাসী বোলিংয়ের সামনে খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি তিনি। সাজঘরে ফিরেন ১৬ রান করে।

এরপর হারিসকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন নাঈম। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২০ রান। খানিক পর উইকেটে এসে ৯ বল থেকে ২ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তাওহীদ হৃদয়। এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন হারিস রউফ।

এর আগে, এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বের পর সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেও টস ভাগ্য সাকিবের পক্ষে এসেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে দল থেকে এসেছে একটি পরিবর্তন। হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে ফর্মের তুঙ্গে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ছিটকে গেছেন। তার বদলি দলে এসেছেন লিটন দাস।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনায় বেনাপোলে বিএনপির উদ্যোগে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশ ১৯৩ রানে অল আউট

প্রকাশের সময় : ০৭:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নাসিম শাহ আর হারিস রউফের পেস তোপে শুরুতেই ধুঁকছিল বাংলাদেশ। মাঝে বিরতি দিয়ে দাপটটা ধরে রাখে তারা। যে কারণে পুঁজিটা বড় করতে পারল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ১৯৩ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারও খেলতে পারেননি দেশের ক্রিকেটাররা। ৩৮.৪ ওভারেই গুটিয়ে গেছে সাকিবের দল।

দলের বিপদের সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন ক্যাপ্টেন। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১২০ বলে ১০০ রানের জুটি গড়ে দলকে যোগান সাহস। তারপরও দলীয় স্কোর বড় হয়নি। সম্মানজনক স্কোরে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। সাকিবদের মূলত ধসিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের পেসাররা। ৯ উইকেটই গেছে পেসারদের পকেটে। হারিস রউফের ৪ উইকেটের সঙ্গে ৩ উইকেট শিকার করেন নাসিম শাহ।

সাকিব সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৫৩ রানের দুর্বার এক ইনিংস। ৫৭ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারির মার। তার সঙ্গী মুশফিক এখনো ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন। ৮৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান সামনে। সাকিবের মতো এ উইকেটরক্ষক ব্যাটারও সেঞ্চুরি মিস করেন। ব্যাটিং নৈপুণ্যের আভাস দিয়েও শামীম হোসেন পাটোয়ারী আউট হন মাত্র ১৬ বলে।

সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের শুরুতে যেন পাকিস্তান বোলারদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পাড়ছিল না বাংলাদেশ। শাহীন আফ্রিদি, নাসিম ও হারিসের পেস আগ্রাসনে পুড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লেতেই হারিয়েছে চার উইকেট। থিতু হয়ে ফিরে গেছেন লিটন-নাঈম। পরে সাকিব-মুশফিকের ব্যাটিং দৃঢ়তায় থেমে যায় ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রানই তুলতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম। পরের ওভারে স্টাইকিং পজিশনে এসেই ক্যাচ তোলে দিয়েছেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর উইকেটে এসে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হন লিটন দাস। তবে পাকিস্তানের আগ্রাসী বোলিংয়ের সামনে খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি তিনি। সাজঘরে ফিরেন ১৬ রান করে।

এরপর হারিসকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন নাঈম। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২০ রান। খানিক পর উইকেটে এসে ৯ বল থেকে ২ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তাওহীদ হৃদয়। এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন হারিস রউফ।

এর আগে, এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বের পর সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেও টস ভাগ্য সাকিবের পক্ষে এসেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে দল থেকে এসেছে একটি পরিবর্তন। হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে ফর্মের তুঙ্গে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ছিটকে গেছেন। তার বদলি দলে এসেছেন লিটন দাস।