
রিথিংকিং ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং-লার্নিং প্রাকটিস’ থিম নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বেল্টা) জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে জাতীয় এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের মাতৃভাষা হলো বাংলা আর বিজ্ঞানের মাতৃভাষা হলো ইংরেজি। এ জন্য শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পূর্বে একজন শিক্ষার্থী প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ১২ বছর ধরে ইংরেজি পড়ে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসেও ইংরেজি ভার্সনে পড়াশোনায় তারা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে না। কেন এটা পারে না? আমাদের শিক্ষা পদ্ধতির ঠিক কোথায় সমস্যাটি রয়েছে, তা খুঁজে তিনি সমাধানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইংরেজি শিক্ষার বিস্তারে করোনা পরবর্তীতে বাংলাদেশে বেল্টার যে অবদান রেখেছে, এর গুরুত্ব অপরিসিম। বেল্টার জাতীয় সম্মেলন যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আয়োজন করায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদও জানান তিনি।সম্মেলনের আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন বেল্টা সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ বশির। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বেল্টার সদ্য সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুবিনা খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে শিক্ষা প্রদানের জন্য দক্ষতা অর্জনে সিপিডি ও আইপিডি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বেল্টার সভাপতি অধ্যাপক আহমেদ বশীর। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, বেল্টার সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোহিব উল্লাহ, যবিপ্রবি ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. মরিয়ম জামিলা, সহকারী অধ্যাপক ড. ফারজানা নাসরিন, মো. আব্দুল হালিম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফারহানা ইয়াসমিন, প্রভাষক তাবাস্সুম ইসলাম নবনী, তুশমিত মেহেরুবা আঁকা, মাহমুদুর রহমান সিয়াম প্রমুখ। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষকের অংশগ্রহণ এবং ৬০টি প্রবন্ধ উপস্থাপন, কর্মশালা ও একটি প্যানেল আলোচনা এই অনুষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করে তোলে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কোরাইশা বিনতে হুমায়ুন ও তাসনিম মাহবুবা।
যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত -৩
যশোরে পৃথক সময়ে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মহিলাসহ ৫জন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেনাপোল কাগজপুকুর বাজারে, একই দিন দুপুর ২টার দিকে যশোর সদর উপজেলার নিমতলা মোড়ে এবং শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিতে কেশবপুর উপজেলা মসজিদপুর নামক স্থানে এই পৃথক দুর্ঘটনা গুলো ঘটে।
হাসপাতাল ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বেনাপোল কাগজপুকুর বাজারের রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় রাজা বাবু(১৩) নামে এক শিশু ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নিহত ঐ এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। ঘটনার পরে পুলিশ বাসের চালকসহ ২জনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজা বাবুর স্থানীয় একটি গ্যারেজে কাজ শেষ করে ১২টার দিকে নাস্তা করতে একটি হোটেলে যান। নাস্তা শেষ করে রাস্তা পার হয়ে গ্যারেজে আসছিলেন। এ সময় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা স্টার ডিলাক্স একটি যাত্রীবাহি পরিবহন তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রাজা বাবু রাস্তার উপরে ছিটকে পড়ে ঘটনা স্থলে নিহত হয়।
এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভুঁইয়া ঘটনাস্থল থেকে বাস চালক ও হেলপারকে আটক করেন।
এদিকে শনিবার দুপুর ২টার দিকে যশোর সদর উপজেলার নিমতলা মোড়ে ট্রাক ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক ড্রাইভার নজরুল ইসলাম(৩৫) নিহত হন। তিনি সদর উপজেলার বসুন্দিয়া বানিয়ারগাতি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ট্রাকের হেলপারসহ আহত হয়েছেন ২জন।
আহতরা হলেন, সদর উপজেলার বসুন্দিয়া জগন্নথপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে ও ট্রাকের হেলপার ইমরান হোসেন(২৭) এবং নসিমন চালক শার্শা বাগআঁচড়া জামতলা গ্রামের আওয়াল হোসেনের ছেলে মোহাম্মাদ ফারুক হোসেন(৪৫)। আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে আহত নসিমন চালক জানান, শনিবার দুপুরে ঢেউটিন নিয়ে ঝিকরগাছার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নিমতলা মোড়ে পৌছালে নসিমনের সামনের চাকার গাড় ভেঙ্গে রাস্তার উপরে পড়ে যায়। এ সময় ১০চাকার একটি ট্রেক আমাকে(নসিমন চালককে) বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এ সময় ট্রাক ড্রাইভারসহ তিনজন আহত হন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সাভির্সেরকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ট্রাক ড্রাইভার নজরুল ইসলাম মারা যান। লাশ ময়না তদন্তর জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, শুক্রবার দিনগত রাতে কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে বস্ত্র ব্যবসায়ীর অরুণ কুমার পাল ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় তিনজন আহত হয়েছেন।নিহতের অরুণ কুমার পাল কেশবপুর পৌর শহরের গণেশ পালের ছেলে। আহতরা হলেন, উপজেলার লক্ষ্মীনাথকাটি গ্রামের রিয়াজ উদ্দীন(৪৫), সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের এনামুল হোসেন(২৬) ও মনিরুজ্জামান (২৮)।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার মজিদপুর এলাকায় ভান্ডারখোলা দিক থেকে আসা এনামুল হোসেনের দ্রুততগতির মোটরসাইকেল অরুণ কুমার পালের মোটরসাইকেলের সাধে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলের চারজনই রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অরুন কুমার পালের মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার অচিন্ত কুমার পাল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। তাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে খুলনায় রেফার করা হয়েছে।#
জলাবদ্ধতা নিরসনে খালে নেমে পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
যশোরের ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে খালে নেমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাকে দেখে উৎসুক গ্রামবাসীও অংশ নেন এ কাজে। তার এমন উদ্যোগে খুশি জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসনে আগামীতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
যশোরের অভিশাপ অভয়নগরের ভবদহ জলাবদ্ধতা। বর্তমানে জলাবদ্ধতা কিছুটা কম থাকলেও সংযোগ খালগুলোতে কুচুরিপানা, ময়লা আবর্জনা ও অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকায় পানি নিষ্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। জেলা প্রশাসনের সহোযোগিতায় এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সকাল থেকে সারাদিন সুন্দলী ইউনিয়নের ডুমুরবিল থেকে পাথরঘাটা পর্যন্ত খাল পর্যন্ত খাল পুনরুদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় খালে নেমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেএম আবু নওশাদ। তাকে দেখে দুইশতাধিক উৎসুক গ্রামবাসীও অংশ নেন এ কাজে। এ উদ্যোগের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি, ফসল ফলানো সম্ভব হবে। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
গ্রামবাসী জানান, বছরের প্রায় অর্ধেকরও বেশি সময় ধরে ভবদহ অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে থাকে। জলবদ্ধতার কারণে এ অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে ফসল ফলাতে পারতো না কৃষকেরা। ফলে তাদের জীবন জীবিকাও বাধাগ্রস্ত হতো।খাল পুনরুদ্ধারের ফলে এ অঞ্চলের কৃষকেরা পুনরায় এ সকল কৃষি জমিতে ফসল ফলাতে পারবে, পাশাপাশি এ অঞ্চলের জলবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় রায় বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভবদহ জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছি। সরকার একটি ভবদহ সেচ প্রকল্প দিলেও ছোট খাল গুলোতে অবৈধ দখলদারের কারণে, পানি নিষ্কাশন সচল না থাকায় তাতে বেশি সুফল পাওয়া যায় না। খাল পুনরুদ্ধার করা গেলে এ অঞ্চলের মানুষেরা জলবদ্ধতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
তুষার বিশ্বাস নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের এই জলবদ্ধতার কারণে আমরা জমিতে ফসল ফলাতে পারি না। বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় জমি পানিতে তলিয়ে থাকতো। খাল পুনরুদ্ধার করা হলে এ অঞ্চলের কৃষকেরা প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ফসলের জমিতে ফসল ফলাতে পারবে।
নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাল পুনরুদ্ধারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়। দীর্ঘদিন ধরে এ সকল খাল অবৈধ দখলে থাকার পরও পূর্বের কোন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তবে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদান করেই এ অঞ্চলের মানুষের দূর্দশার কথা চিন্তা করে এ খাল পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ কাজে গ্রামবাসীর পাশাপাশি আমার কলেজের প্রায় ৪৫ জন শিক্ষার্থীও সহোযোগিতা করছে।
সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল বলেন, ‘খাল পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের জলবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে। এ অঞ্চলের ১০ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে ফসল ফলাতে পারবে কৃষকেরা। শুধু তাই নয়, এই সকল খালের পাশে বসবাসকারীরা খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। আমরা সর্বাত্বক ভাবে উপজেলা প্রশাসনকে সহোযোগিতা করছি।’
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ বলেন, ‘ভবদহ অঞ্চলের খালগুলো দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা, আবর্জনায় ভরপুর ছিল। খালের পাশে বিভিন্ন অবৈধ দখলদার ছিল। জেলা প্রশাসনের সহোযোগিতা উপজেলা প্রশাসন এ খাল পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে আজ খাল পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। এ কাজে গ্রামবাসী ও সেচ্ছাসেবকরা সহোযোগিতা করছে।
তিনি আরো বলেন, খালগুলোতে জলাবদ্ধতা নিরসন হলে অঞ্চলের মানুষেরা কৃষি জমিতে ফসল ফলাতে পারবে, এ খালে নৌকা নিয়ে যাতয়াত করতে পারবে এমনকি মৎস অভয়ারণ্যে সৃষ্টি হবে। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। পরবর্তীতে কোন দখলদার যেন খালে বাধ বা পাটা দিতে না পারে সেজন্য সকলকে সচেতন করা হচ্ছেন। কেউ বাঁধ বা পাটা দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৮০’র দশক থেকে যশোরের অভয়নগর, মণিরামপুর, কেশবপুর উপজেলা ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মানুষ জলাবদ্ধতায় জর্জরিত। এ এলাকাগুলোই ভবদহ নামে পরিচিত।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন যশোরে
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আর.এন রোড, যশোর এর সকল ব্যবসায়ীবৃন্দ ও এলাকাবাসী। শনিবার সকাল ১১টায় আর.এন.রোডে এ মানববন্ধন হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নলডাঙ্গা জামে মসজিদের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক লিটন, জেলা মৎস্য হ্যাচারি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান, জেলা দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাক্তার আব্দুল্লাহ, ইনকিলাব-এ-মাহাদী মিশনের পরিচালক ও ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম, । আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কল্যাণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইজাজ উদ্দীন টিপু, ব্যবসায়ী শেখ মো. ইব্রাহিম, জাকির হোসেন, তৌহিদ হোসেন, ইমামবাড়ী দরবার শরীফের খাদেম শাহাবাজ আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, মানবতার দুশমন অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের নিরস্ত্র শিশু ও নারীদের উপর দশকের পর দশক ধরে গণহত্যা করে যাচ্ছে। পাথর নিক্ষেপ করলে ইসরাইলিরা জবাবে গুলি ছুড়ছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইল সামরিক স্থাপনায় রকেট ছুড়লে তাদের বিমানবাহিনী ফিলিস্তিনি বস্তিগুলোর উপর নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে। বক্তরা আরও বলেন,যায়নবাদী অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র ইয়াহুদীদের কবল হতে মুসলিম জাতীর প্রথম কেবলা মাসজিদুল আকসাকে মুক্ত করতে হবে। এই জন্য মুসলিম দেশগুলোকে ইসরাইলী পণ্য বর্জনের আহবান জানান।#
যশোরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ
ঘোষিত তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, তদারকি সরকারের অধিনে নতুন তফসিলে নির্বাচনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহুত ২৫ নভেম্বরের দেশব্যাপী বিক্ষোভের কর্মসূচির অংশ হিসাবে যশোর জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট শনিবার বিকালে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে আইনজীবী মিলনায়তনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জোটের জেলা সমন্বয়ক কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিপিবির জেলা সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক কমরেড তসলিম উর রহমান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড নাজিমউদ্দীন, বাসদ মার্কসবাদী জেলা সমন্বয়ক কমরেড হাচিনুর রহমান, সিপিবির জেলা সহ সাধারণ সম্পাদক কমরেড আমিনুর রহমান হিরু, বাসদের জেলা নেতা কমরেড আলাউদ্দিন প্রমুখ।
যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিঙে লিটনের ভাগ্নে জিতু অস্ত্র-গুলিসহ আটক
যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিঙে লিটনের ভাগ্নে শরিফুল ইসলাম জিতুকে অস্ত্র-গুলিসহ আটক করেছে পুলিশ। হত্যা, ডাকাতি, অস্তদ্র, বোমাবাজি ও চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে অন্তত দেড় ডজন মামলা রয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর রাতে শহরের ঢাকা রোড বারান্দীপাড়া এলাকার বিটিসি কলেজের সামনে থেকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় সদর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই ইমরানুর কবীর তাকে আটক করেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দেয়া হয়েছে।
আটক শরিফুল ইসলাম জিতু যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিঙে লিটনের ভাগ্নে এবং বারান্দীপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম সিরার ছেলে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেসন্স) পলাশ বিশ^াস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ২৪ নম্বর শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আনিছুর রহমান ফিঙে লিটনের ভাগ্নে শরিফুল ইসলাম জিতু। বারান্দীপাড়া, ঢাকা রোড, বকচর, নীলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হত্যা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকের কারবারসহ নানা ধরণের অপরাধ মূলক কর্মকা- করে আসছে জিতু। ২০২২ সালে তাতী লীগ নেতা আব্দুর রহমান কাকনকে হত্যা করে কারাগারে আটক ছিল জিতু। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে বোমা ও অস্ত্র হাতে নিয়ে সব সময় সাধারণ মানুষদের হত্যাসহ নানা ধরণেল হুমকি দিয়ে আসছিল। গত শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারান্দীপাড়া ঢাকা রোডের বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কলেজ (বিটিসির) সামনে অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল। এসময় সদর ফাড়ির এসআই ইমরানুর কবীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে জিতুকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
যশোরের ডিবি পুলিশের অভিযান, ৪ কেজি গাঁজা ও ১’শ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার
যশোরের ডিবি পুলিশ চৌগাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজা ও একশ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। তবে এই ঘটনার সাথে কাউকে আটক করতে পারেনি।
ডিবির এসআই সোলায়মান আক্কাস জানিয়েছেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চৌগাছা উপজেলার গয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উত্তর পাশে গেলে কয়েকজন চোরাকারবারি ওই মাদকদ্রব্য ফেলে পালিয়ে যায়। পিছু ধাওয়া করেও তাদের আটক করা যায় নি। পরে সে গুলো উদ্ধার করা হয়েছে। #
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম
যশোর অফিস যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমির গাজী (৩৪) কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম
করেছে আপন ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে শহরের নাজির শংকরপুর হাজারী গেট এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।আহত আমিন জানান, তার মেঝো ভাই মোস্তফার সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিকেলেতাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এসময় তার ভাই তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আশংকাজন অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক জানান, তার শরীরের বিভিন্নস্থানে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবস্থা আশংকা জনক। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।#
কবি বুনো নাজমুল যশোরীর মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণসভা
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ এম.এম. নাজমুল হক (কবি বুনো নাজমুল যশোরী)-এর ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার দুপুরে দক্ষিণ নড়াইলের চাকই গ্রামে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি নাজমুল হক স্মৃতি জনকল্যাণ গ্রন্থাগার ও চারণকবি সাইফুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন নিজামুদ্দিন মোল্যা। কবি বিলাল মাহিনী ও শামীম হাসানের সঞ্চালনে উক্ত স্মরণসভায়
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. হায়দার আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাইদুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীরপুত্র কবি নাঈম নাজমুল। স্মৃতি চারণ করেন কবির ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কবি ও গীতিকার অধ্যক্ষ খায়রুল বাসার, কবি ও গবেষক মো. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক শেখ আকিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সি. সহ সভাপতি অধ্যাপক সেলিম হোসেন, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, চারণকবি সাইফুল ইসলাম সাবু স্মৃতি সংসদের সভাপতি গাজী মো. শাহজাহান, উপদ্ষ্টো রমজান আলী, হুমাউন কবির উমান, জহির রায়হান, মাস্টার সাইফুল ইসলাম সুফিয়ান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, কবি রবিউল খান, স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন বিশ্বাস, তবিবর রহমান বিশ্বাস, হরমুজ বিশ্বাস, ইউপি সদস্য মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও. ফয়জুল করিম।
বক্তারা খ্যাতিমান এই মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদের মৃত্যু বার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কবি, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ নাজমুল হকের বিদেহী আত্মার প্রতি সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও সুধীজন
যশোর অফিস ।। 







































