
হরিণাকুন্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুসহ আশেপাশের কয়েকগ্রামের কৃষকের ক্ষেতে সেচ সুবিধার জন্য বাস্তবায়ন করা হয়েছিল গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প (জিকে)। প্রতিবছর মৌসুমের শুরু থেকেই পানি পাওয়ার কথা থাকলেও চলতি বোরো মৌসুমের (২০২৪) প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও মিলছে না পানি। এর কারণ হিসেবে পাম্প নষ্টের কথা বলছে পাউবো।
এখনও পানির দেখা মেলেনি কবে নাগাদ মিলবে জিকে সেচের পানি তা এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত । তাই সময়মতো বোরো চাষের জন্য বাধ্য হয়ে বাজার থেকে ডিজেল কিনে সেচের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে এবং বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে পাম্প মালিকদের, এমনটাই বলছিলেন উপজেলার রামনগর গ্রামের এক কৃষক।
সেচ খরচ বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, কল্লোল নামে এক পাম্প মালিক বলেন, রাতদিন ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন চলে। শ্যালো মেশিনে চাষ করা অনেক ব্যায়বহুল। পানি বিক্রি করে যে টাকা আসে, তাতে সামান্য লাভ থাকে তারপরও যন্ত্রপাতির যে দাম তাতে আমাদের লোকসান হচ্ছে ।
উপজেলার সাতব্রীজ এলাকায় প্রধান খালটি আলমডাঙ্গা সেচ খাল নামে পরিচিত পাউবো ভেড়ামারার পাম্প থেকে এ খালে পানি সরবরাহ করে । এই সাতব্রীজ থেকে পাঁচটি শাখা খালের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে সেচের জন্য পানি সরবরাহ করা হয়। তবে এবার পানি না দেওয়ায় শাখা খাল গুলো পানি শূন্য অবস্থায় আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো, শাহীন ইসলাম বলেন, পাউবো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সেচের পানি পাওয়া যাবে। আর নষ্ট পাম্প দুটি মেরামতের চেষ্টা চলছে।ঝিনাইদহ পাউবোর উপপ্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব বলছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
হরিণাকুন্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি 







































