বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের অবরোধে ২৫০০ ফিলিস্তিনি হজ করতে পারেননি

এবার গাজা থেকে কোনও ফিলিস্তিনি হজে যেতে পারেননি। মূলত রাফা ক্রসিং ইসরায়েলের দখলে থাকায় এবং ভূখণ্ডটি অবরুদ্ধ করে রাখায় গাজার ২৫০০ মুসল্লি এবার হজ করতে যেতে পারেননি।

শুক্রবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

প্রসঙ্গত, সউদী আরবের মক্কা নগরীতে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মুসলমান এবার হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকেও হাজারও ফিলিস্তিনি গেছেন হজ পালন করতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা এবং গাজাকে মিসরের সাথে সংযুক্তকারী রাফা ক্রসিংয়ে আক্রমণ ও দখলে নেওয়ার ফলে এই বছর ২৫০০ ফিলিস্তিনি হজ যাত্রা করতে পারেননি বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির এনডাউমেন্টস মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন ও যুদ্ধের কারণে মিসর ও সউদী আরবের মধ্যে দিয়ে পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষর এবং মক্কা ও মদিনায় হাজিদের থাকার জায়গা বুকিংসহ হজের স্বাভাবিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি মন্ত্রণালয়।

আল-মুদাল্লাল জানান, ‘রাফা ক্রসিং বন্ধ করা এবং চলমান সংঘাত ২৫০০ গাজার মুসলিম ও সহগামী মিশনগুলোকে হজের জন্য ভ্রমণ করা থেকে বিরত রেখেছে। এই দলটি মোট ৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি হজযাত্রীর ৩৮ শতাংশ।’

আল-মুদাল্লাল বলেছেন, মন্ত্রণালয় সউদী আরব এবং মিসরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে। তারাও এটিকে ফিলিস্তিনি হজযাত্রীদের অধিকারের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এই বছর ক্ষতিগ্রস্ত হজযাত্রীরা ‘আগামী বছর তাদের হজ করার সুযোগ পাবেন, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে’। বিশেষ করে গাজা থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ পেতে অনেকেই বছরের পর বছর অপেক্ষা করে থাকেন এবং তাদের ৭০ শতাংশই বয়স্ক বা অসুস্থ।

প্রসঙ্গত, গাজার মানুষ সাধারণত রাফা ক্রসিং দিয়ে প্রথমে মিসরে যান। এরপর সেখান থেকে তারা সউদীতে পৌঁছান। কিন্তু মে মাস থেকে এই ক্রসিংটি বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলিরা।

অবশ্য এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে হজ পালনে মক্কায় গেছেন ৪ হাজার ২০০ জন।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

ইসরায়েলের অবরোধে ২৫০০ ফিলিস্তিনি হজ করতে পারেননি

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

এবার গাজা থেকে কোনও ফিলিস্তিনি হজে যেতে পারেননি। মূলত রাফা ক্রসিং ইসরায়েলের দখলে থাকায় এবং ভূখণ্ডটি অবরুদ্ধ করে রাখায় গাজার ২৫০০ মুসল্লি এবার হজ করতে যেতে পারেননি।

শুক্রবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

প্রসঙ্গত, সউদী আরবের মক্কা নগরীতে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মুসলমান এবার হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকেও হাজারও ফিলিস্তিনি গেছেন হজ পালন করতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা এবং গাজাকে মিসরের সাথে সংযুক্তকারী রাফা ক্রসিংয়ে আক্রমণ ও দখলে নেওয়ার ফলে এই বছর ২৫০০ ফিলিস্তিনি হজ যাত্রা করতে পারেননি বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির এনডাউমেন্টস মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন ও যুদ্ধের কারণে মিসর ও সউদী আরবের মধ্যে দিয়ে পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষর এবং মক্কা ও মদিনায় হাজিদের থাকার জায়গা বুকিংসহ হজের স্বাভাবিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি মন্ত্রণালয়।

আল-মুদাল্লাল জানান, ‘রাফা ক্রসিং বন্ধ করা এবং চলমান সংঘাত ২৫০০ গাজার মুসলিম ও সহগামী মিশনগুলোকে হজের জন্য ভ্রমণ করা থেকে বিরত রেখেছে। এই দলটি মোট ৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি হজযাত্রীর ৩৮ শতাংশ।’

আল-মুদাল্লাল বলেছেন, মন্ত্রণালয় সউদী আরব এবং মিসরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে। তারাও এটিকে ফিলিস্তিনি হজযাত্রীদের অধিকারের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এই বছর ক্ষতিগ্রস্ত হজযাত্রীরা ‘আগামী বছর তাদের হজ করার সুযোগ পাবেন, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে’। বিশেষ করে গাজা থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ পেতে অনেকেই বছরের পর বছর অপেক্ষা করে থাকেন এবং তাদের ৭০ শতাংশই বয়স্ক বা অসুস্থ।

প্রসঙ্গত, গাজার মানুষ সাধারণত রাফা ক্রসিং দিয়ে প্রথমে মিসরে যান। এরপর সেখান থেকে তারা সউদীতে পৌঁছান। কিন্তু মে মাস থেকে এই ক্রসিংটি বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলিরা।

অবশ্য এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে হজ পালনে মক্কায় গেছেন ৪ হাজার ২০০ জন।