বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে এক যুবক আহত

ছবি-সংগৃহীত

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক যুবক। তবে ট্রলারের বাকি সবাই অক্ষত রয়েছেন। সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে ট্রলার নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের শাহপরীরদ্বীপের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হন আলী জোহার। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গুলিবিদ্ধ আলী জোহার একজন রোহিঙ্গা। তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ৩ নম্বর ক্যাম্পের জি-৮৪ ব্লকের বাসিন্দা। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী। তিনি ভবনের কাজ করার জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একমাস পর ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিন থেকে চারটি ট্রলারে করে দ্বীপে আটকা পড়া লোকজনকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তারা ট্রলারগুলোতে উঠতে পারেননি। পরে ২৫-৩০ জন একজোট হয়ে একটি কাঠের ট্রলার ভাড়া করে রওনা দেন। শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাশ থেকে কূলে উঠার কথা থাকলেও ট্রলারের মাঝি সেটা না মেনে তাদেরকে নিয়ে যান শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব পাশের ঘাটের দিকে। ওই সময় মিয়ানমার থেকে দুটি ট্রলার বের হয়ে সীমানার কাছাকাছি এসে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। সেই গুলি এসে লাগে তার ডান পায়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে ট্রলারের অন্যান্যরা তাকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি বলেন, বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদের মালিকানাধীন চারটি ট্রলারে করে প্রায় ২৫০ জন সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরে এসেছিলেন। ওই ট্রলারগুলোতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এরপর প্রশাসনকে না জানিয়ে কেউ এসে থাকলে তা আমার জানা নেই। তবুও বিষয়টি খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সমাধিতে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে এক যুবক আহত

প্রকাশের সময় : ০৭:০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক যুবক। তবে ট্রলারের বাকি সবাই অক্ষত রয়েছেন। সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে ট্রলার নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের শাহপরীরদ্বীপের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত হন আলী জোহার। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গুলিবিদ্ধ আলী জোহার একজন রোহিঙ্গা। তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ৩ নম্বর ক্যাম্পের জি-৮৪ ব্লকের বাসিন্দা। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী। তিনি ভবনের কাজ করার জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একমাস পর ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিন থেকে চারটি ট্রলারে করে দ্বীপে আটকা পড়া লোকজনকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তারা ট্রলারগুলোতে উঠতে পারেননি। পরে ২৫-৩০ জন একজোট হয়ে একটি কাঠের ট্রলার ভাড়া করে রওনা দেন। শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাশ থেকে কূলে উঠার কথা থাকলেও ট্রলারের মাঝি সেটা না মেনে তাদেরকে নিয়ে যান শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব পাশের ঘাটের দিকে। ওই সময় মিয়ানমার থেকে দুটি ট্রলার বের হয়ে সীমানার কাছাকাছি এসে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। সেই গুলি এসে লাগে তার ডান পায়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে ট্রলারের অন্যান্যরা তাকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি বলেন, বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদের মালিকানাধীন চারটি ট্রলারে করে প্রায় ২৫০ জন সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরে এসেছিলেন। ওই ট্রলারগুলোতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এরপর প্রশাসনকে না জানিয়ে কেউ এসে থাকলে তা আমার জানা নেই। তবুও বিষয়টি খোঁজ নেয়া হচ্ছে।