সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক্সপ্রেসওয়েতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও আ.লীগের হামলা, আহত ১০

পদ্মা সেতু উত্তর প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থানের কারনে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ছাত্র ছাত্রীদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলে। ছাত্ররা পুলিশের নির্দেশ না মানায় পুলিশ ছাত্র-ছাত্রীদের লাঠি চার্জ শুরু করে এবং শ্রীনগর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বিল্লাল হোসনকে আটক করে।
এতে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পুলিশকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং ধাওয়া দেয়। ছাত্রদের ধাওয়ায় পুলিশ পিছু হটে পদ্মা উত্তর থানায় অবস্থান নেয়। এসময় ছাত্র ছাত্রীরা ফের রাস্তায় অবস্থান নেয়। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ থানা থেকে বের হয়ে ফাঁকা গুলি, কাদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষিপ করে। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দক্ষিনে পদ্মা সেতুর নীচে মাওয়া চৌরাস্তায় এসে জমা হয়। সেখানে তারা দেড় ঘন্টা অবস্থান নিয়ে আটক ২ ছাত্র বিল্লাল ও সুমিতের মুক্তির দাবীতে স্লোগান দিতে থাকে। দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের সাথে লৌহজং উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যোগ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ধাওয়া দেয় এবং পুলিশ-র‌্যাবের উপস্থিতিতে তাদেরকে মারধর করে।
কোটা আন্দোলনকারীরা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তারা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছিলেন। পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে,ফাকা গুলি,গ্রেনেড ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় শ্রীনগর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. বিল্লাল ও পদ্মা কলেজের ছাত্র সুমিতকে পুলিশ আটক করে।
সিরাজদিখান উপজেলার পলি টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটের ছাত্র গোপাল রাজবংশী বলেন, পুলিশ তাকে সহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে রক্তাত্ব জখম করেছে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে।  পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এক্সপ্রেসওয়েতে এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। তিনি জানান, ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
জনপ্রিয়

যশোর-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিএনপির প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন

এক্সপ্রেসওয়েতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও আ.লীগের হামলা, আহত ১০

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
পদ্মা সেতু উত্তর প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থানের কারনে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ছাত্র ছাত্রীদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলে। ছাত্ররা পুলিশের নির্দেশ না মানায় পুলিশ ছাত্র-ছাত্রীদের লাঠি চার্জ শুরু করে এবং শ্রীনগর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বিল্লাল হোসনকে আটক করে।
এতে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পুলিশকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং ধাওয়া দেয়। ছাত্রদের ধাওয়ায় পুলিশ পিছু হটে পদ্মা উত্তর থানায় অবস্থান নেয়। এসময় ছাত্র ছাত্রীরা ফের রাস্তায় অবস্থান নেয়। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ থানা থেকে বের হয়ে ফাঁকা গুলি, কাদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষিপ করে। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দক্ষিনে পদ্মা সেতুর নীচে মাওয়া চৌরাস্তায় এসে জমা হয়। সেখানে তারা দেড় ঘন্টা অবস্থান নিয়ে আটক ২ ছাত্র বিল্লাল ও সুমিতের মুক্তির দাবীতে স্লোগান দিতে থাকে। দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের সাথে লৌহজং উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যোগ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ধাওয়া দেয় এবং পুলিশ-র‌্যাবের উপস্থিতিতে তাদেরকে মারধর করে।
কোটা আন্দোলনকারীরা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তারা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছিলেন। পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে,ফাকা গুলি,গ্রেনেড ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় শ্রীনগর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. বিল্লাল ও পদ্মা কলেজের ছাত্র সুমিতকে পুলিশ আটক করে।
সিরাজদিখান উপজেলার পলি টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটের ছাত্র গোপাল রাজবংশী বলেন, পুলিশ তাকে সহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে রক্তাত্ব জখম করেছে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে।  পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এক্সপ্রেসওয়েতে এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। তিনি জানান, ১ জনকে আটক করা হয়েছে।