শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল বন্দরে ৪ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি

ভারতের পেট্রাপোলে আধুনিক মানের ‘প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল’ উদ্বোধন উপলক্ষে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ চারদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। সোমবার সকালে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগামী বৃহস্পতিবার প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই উপলক্ষে তার আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে এ ধরনের একটি চিঠি দিয়েছেন পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার কমলেশ শাইনি।

ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন বৃহস্পতিবার। এদিন একাধিক কর্মসূচি ও স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে দু-দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি আলহাজ মতিয়ার রহমান বলেন, পেট্টাপোলে আধুনিক মানের যাত্রী টার্মিনালসহ অন্য স্থাপনা উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী শনিবার (২৬ অক্টোবর) থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দু-দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকবে।

ওপারের ব্যবসায়ীরা জানান, অমিত শাহর আগমন উপলক্ষে গোটা পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশ বাহিনীকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। সাথে ডগ স্কোয়ার্ড বাহিনীও রয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে টার্মিনালের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

জনপ্রিয়

যশোরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বেনাপোল বন্দরে ৪ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি

প্রকাশের সময় : ০৫:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের পেট্রাপোলে আধুনিক মানের ‘প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল’ উদ্বোধন উপলক্ষে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ চারদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। সোমবার সকালে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগামী বৃহস্পতিবার প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই উপলক্ষে তার আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে এ ধরনের একটি চিঠি দিয়েছেন পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার কমলেশ শাইনি।

ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন বৃহস্পতিবার। এদিন একাধিক কর্মসূচি ও স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে দু-দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি আলহাজ মতিয়ার রহমান বলেন, পেট্টাপোলে আধুনিক মানের যাত্রী টার্মিনালসহ অন্য স্থাপনা উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী শনিবার (২৬ অক্টোবর) থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দু-দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকবে।

ওপারের ব্যবসায়ীরা জানান, অমিত শাহর আগমন উপলক্ষে গোটা পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশ বাহিনীকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। সাথে ডগ স্কোয়ার্ড বাহিনীও রয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে টার্মিনালের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।