সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর ৮৯০ জন সদস্য নিহত

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে যে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় সংঘটিত সংঘর্ষে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর ৮৯০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে সেনা সদস্য, কর্মকর্তা, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী রয়েছেন। শুক্রবার ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আল আকসা স্টর্ম নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যা ইসরাইলের জন্য অভূতপূর্ব আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। ওই অভিযানে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরাইলের ১,২০০ জনেরও বেশি সশস্ত্র সেনা ও নাগরিক নিহত হয়।

আল আকসা স্টর্ম অভিযানের পর ইসরাইল গাজা অঞ্চলে তাদের সামরিক অভিযান তীব্র করে। হামাস নিধনে তাদের চালানো অভিযানের ফলে অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এছাড়াও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গোটা গাজা উপত্যকা ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি।

এমনই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় ‘গণহত্যা’ চালানোর জোরালো অভিযোগ ওঠে।

ইসরাইলি সরকার জানায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য এবং সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিলতর হয়ে উঠছে।

হামাসের আল-আকসা অভিযানটি মূলত দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ফিলিস্তিনি ভূমি দখল ও নিরীহ বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ও হত্যা করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনি সংগ্রামের অংশ হিসেবে চালানো হয়েছিল।

তবে ইসরাইলি সামরিক অভিযানের কারণে গাজা ও এর আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এবং অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। যা গাজার মানবিক সংকটকে আরও তীব্রতর করে তুলেছে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

গাজায় ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর ৮৯০ জন সদস্য নিহত

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে যে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় সংঘটিত সংঘর্ষে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর ৮৯০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে সেনা সদস্য, কর্মকর্তা, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী রয়েছেন। শুক্রবার ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আল আকসা স্টর্ম নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যা ইসরাইলের জন্য অভূতপূর্ব আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। ওই অভিযানে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরাইলের ১,২০০ জনেরও বেশি সশস্ত্র সেনা ও নাগরিক নিহত হয়।

আল আকসা স্টর্ম অভিযানের পর ইসরাইল গাজা অঞ্চলে তাদের সামরিক অভিযান তীব্র করে। হামাস নিধনে তাদের চালানো অভিযানের ফলে অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এছাড়াও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গোটা গাজা উপত্যকা ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি।

এমনই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় ‘গণহত্যা’ চালানোর জোরালো অভিযোগ ওঠে।

ইসরাইলি সরকার জানায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য এবং সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিলতর হয়ে উঠছে।

হামাসের আল-আকসা অভিযানটি মূলত দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ফিলিস্তিনি ভূমি দখল ও নিরীহ বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ও হত্যা করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনি সংগ্রামের অংশ হিসেবে চালানো হয়েছিল।

তবে ইসরাইলি সামরিক অভিযানের কারণে গাজা ও এর আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এবং অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। যা গাজার মানবিক সংকটকে আরও তীব্রতর করে তুলেছে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি