বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে পরিবহনে ঘুমিয়ে থাকা হেলপারকে হত্যা

সরদার ট্রাভেলস পরিবহন

যশোরে বাপ্পি (২৬) নামে নামে এক পরিবহন শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মনির উদ্দিনের তেল পাম্পর সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত  বাপ্পি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির শংকারপাশা গ্রামের  ইদ্রিস সরদারের ছেলে। তিনি  (মায়ের দোয়া) সরদার ট্রাভেলস পরিবহন (ঢাকা মেট্রো গ-১৪-৯৭৯৮) এর হেলপার ছিলেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবহের চালক নড়াইলের মল্লিকপুরের এনামুল হোসেন (৫২) ও সুপার ভাইজার যশোরের রুপদিয়ার উজ্জলকে (৩০) কে পুলিশ হেফাজতে  নিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যশোরের ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুযেল ইমরান, র‌্যাব, পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পরিবহন ম্যানেজার যশোরের বিরামপুরের আমিনুল ইসলাম জানান, সরদার ট্রাভেলস পরিবহণ গতকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে যশোর আসে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাবার কথা ছিলো। সকাল সাতটা ১০ মিনিটে ড্রাইভার ও সুপার ভাইজার পরিবহনের কাছে আসেন। এসে দেখেন পরিবহনের দরজা বন্ধ। দরজা নীচ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পরিবহন থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরো জানান, পুলিশ ড্রাইভার ও সুপারভাইজারকে নিয়ে গেছে। পরিবহনটি জব্দ করেছে।

যশোর কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪/৫টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা কি কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সেই সাথে হত্যাকারীদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

মামলা করার জন্য নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনরা যশোর কোতয়ালী থানায় অবস্থান করছেন। পুলিশ সরদার ট্রাভেলস বাস হেফাজতে নিয়েছেন।

জনপ্রিয়

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শতাধিক

যশোরে পরিবহনে ঘুমিয়ে থাকা হেলপারকে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০২:০৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

যশোরে বাপ্পি (২৬) নামে নামে এক পরিবহন শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মনির উদ্দিনের তেল পাম্পর সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত  বাপ্পি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির শংকারপাশা গ্রামের  ইদ্রিস সরদারের ছেলে। তিনি  (মায়ের দোয়া) সরদার ট্রাভেলস পরিবহন (ঢাকা মেট্রো গ-১৪-৯৭৯৮) এর হেলপার ছিলেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবহের চালক নড়াইলের মল্লিকপুরের এনামুল হোসেন (৫২) ও সুপার ভাইজার যশোরের রুপদিয়ার উজ্জলকে (৩০) কে পুলিশ হেফাজতে  নিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যশোরের ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুযেল ইমরান, র‌্যাব, পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পরিবহন ম্যানেজার যশোরের বিরামপুরের আমিনুল ইসলাম জানান, সরদার ট্রাভেলস পরিবহণ গতকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে যশোর আসে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাবার কথা ছিলো। সকাল সাতটা ১০ মিনিটে ড্রাইভার ও সুপার ভাইজার পরিবহনের কাছে আসেন। এসে দেখেন পরিবহনের দরজা বন্ধ। দরজা নীচ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পরিবহন থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।

তিনি আরো জানান, পুলিশ ড্রাইভার ও সুপারভাইজারকে নিয়ে গেছে। পরিবহনটি জব্দ করেছে।

যশোর কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪/৫টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা কি কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সেই সাথে হত্যাকারীদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

মামলা করার জন্য নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনরা যশোর কোতয়ালী থানায় অবস্থান করছেন। পুলিশ সরদার ট্রাভেলস বাস হেফাজতে নিয়েছেন।