বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি: সংগৃহীত

মাহামাুদুল ইসলাম জয়,পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তের সুইডাঙ্গা এলাকার বিপরীতে ভারতের খালপাড়া এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত যুবক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।

শনিবার (৮ মার্চ) ভোররাতে আল আমিনসহ ১০-১৫ জনের একটি দলকে ভারতীয় ভাটপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল দেখে ফেলে। এ সময় বিএসএফ তাদের ওপর গুলি চালায়। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন গুলিতে নিহত হয়। পরে বিএসএফ তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যায়।

বিজিবি ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, আল-আমিন গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।

খবর পেয়ে সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন। পতাকা বৈঠকে এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহ ফেরতের আহ্বান জানান তিনি।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, বিএসএফের গুলিতে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের ১০-১৫ জন চোরাকারবারি বিএসএফকে আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলেও জানান তিনি।

এদিকে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ওই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জনপ্রিয়

বাংলাদেশে প্রবেশের পর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবেন তারেক রহমান

পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

মাহামাুদুল ইসলাম জয়,পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তের সুইডাঙ্গা এলাকার বিপরীতে ভারতের খালপাড়া এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত যুবক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।

শনিবার (৮ মার্চ) ভোররাতে আল আমিনসহ ১০-১৫ জনের একটি দলকে ভারতীয় ভাটপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল দেখে ফেলে। এ সময় বিএসএফ তাদের ওপর গুলি চালায়। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন গুলিতে নিহত হয়। পরে বিএসএফ তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যায়।

বিজিবি ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, আল-আমিন গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।

খবর পেয়ে সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন। পতাকা বৈঠকে এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহ ফেরতের আহ্বান জানান তিনি।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, বিএসএফের গুলিতে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের ১০-১৫ জন চোরাকারবারি বিএসএফকে আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলেও জানান তিনি।

এদিকে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ওই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।