সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘‘মার্চ ফর গাজা’’এবং ‘‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’’ নিয়ে নতুন সম্ভাবনা

কায়ছার উদ্দীন আল-মালেকী

কলামিস্ট , কায়ছারউদ্দীনআল-মালেকী।।

জাতিগত কারণে বাঙালীরা অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন বেশিদিন সহ্য করতে পারেনা। যেকোনসময়জীবনবাজীরেখে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এজন্য ১৯৭১ সালে পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে স্বাধীনতার গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের; সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তিরক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছে, বিশ্বদরবারে। আবার কোন রাষ্ট্রবা পরাশক্তি কোন জাতিসত্তার অধিকার বিলুণ্ঠিত করলে বাংলার জনগণ প্রতিবাদের ঝড় তুলে।

তারই ধারাবাহিকতায় বিগত মিয়ারমার সরকার আরকানি মুসলমানদের উপর গণহত্যা ও নির্যাতন শুরু করলে বাংলার পথপ্রান্তে প্রতিবাদ এবংনিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকী লাখ লাখ শরণার্থীদের এ দেশে আশ্রয় দেয়।

সম্প্রতিকালে ইসরাঈলি রাষ্ট্র নিরহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনদের উপর বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যা চালালে বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। ইসরাঈল এতটা বর্বর ও নৃশংস যে, আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিভেঙ্গে; গাজার জনসাধারণ, পশু-পাখি, গাছপালা, দালালসহ সমস্ত স্থাপনা মাটির সাথে মিশে দেয়। গাজায় বোমার সাথে উড়েছে মানুষ, লোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে স্যোশাল মিডিয়াতে। তারা আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলিকে গাজা ত্যাগ করার বার্তা দিয়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

ঠিক সে মুহূর্তে ১২ এপ্রিল ২০২৫-এ ‘‘মার্চ ফর গাজা’’ নামে একটিকর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচিতে বাঁধভাঙা মানুষের ঢলে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

বাংলাদেশের সকল ঘরোনার আলেম সমাজ এবং জনসাধারণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইসরাঈল আগ্রাসনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের পক্ষে সর্ববৃহৎ গণ জামায়েতে শামিল হয়। এতে সকল ঘরোনার আলেম উপস্থিত ছিলেন। লিড পজিশনে ছিলেন, কওমী, জামাতী, সালাফী সম্প্রদায়। ৫ ই আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক হাওয়া বদলের সুবাদে ইসলামি রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়ছে দিন দিন।

এ সুবর্ণ সুযোগ; ইসলামি দলগুলি গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে, বহু বছর পিছিয়ে পড়বে ইসলামি খেলাফত ব্যবস্থা এজন্য সুফি ধারার দুটি রাজনৈতিক দলও খেলাফত ব্যবস্থা দিকে এগোচ্ছে। সুন্নি রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের সকল পীর-মাশায়েখ ও সুন্নি ঘরোনার জনসাধারণ নিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসরাঈল আগ্রাসনীর বিরুদ্ধ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহৎ গণজামায়েতের ডাক দিয়েছে ২৬ ই এপ্রিল ২০২৪, রোজ শনিবার, ‘‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’’ শিরোনামে। বাংলাদেশের ১২ হাজারের অধিক দরবার ও খানকার পীর-মাশায়েখদের সাথে নিয়ে সমন্বয়ক টিম জোরেশোরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সোস্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে অনুমান করা যায়, সুন্নি সংগঠকদের সমন্বয়ক টিম এ অনুষ্ঠানকে সফল করার লক্ষ্যে টেফনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাথে শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক টিমও গঠন করছে। সার্বিক শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনায় যাতে ত্রুটি না থাকে।

একটি বিষয় আমাদের জানা থাকা দরকার, ফিলিস্তিন দুটিঅংশে বিভক্ত, একটিপশ্চিমতীরবাসী; এরাঞড়ি ঝঃধঃব ংড়ষঁঃরড়হ (ইসরাঈলএবংফিলিস্তিননাগরিকএকসাথে বসবাসকরতেপারবে) এর পক্ষে। গাজাকিš‘ঙহব ঝঃধঃব ংড়ষঁঃরড়হ (ফিলিস্তিনেরভূষÐেশুধু মাত্র ফিলিস্তিন নাগরিক বসবাস করবে) এর পক্ষে। এজন্য পশ্চিম তীর নিরাপদ থাকে প্রায়শ, তবে মাঝে মধ্যে বোমা নিক্ষেপ হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বৈপরীত্য রাজনৈতিক দর্শন ও ধর্মচিন্তার মাঝেও বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ সব সময় তাঁদেরসহ যোগিতা করে যাচ্ছে; এমনকি আর্থিক সহযোগিতাও।

আসুন, আমরা একনিষ্ঠতার সাথে ইসলামের স্বার্থে কাজ করি। মানুষের আবেগ ও অনুভূতিকে পুঁজি না করে ক্ষমতার মসনদ দখলনা করি, আশাকরি, ‘‘ম্যাসগ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’’হবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের নতুন সম্ভাবনা।

জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

‘‘মার্চ ফর গাজা’’এবং ‘‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’’ নিয়ে নতুন সম্ভাবনা

প্রকাশের সময় : ১০:১৩:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

কলামিস্ট , কায়ছারউদ্দীনআল-মালেকী।।

জাতিগত কারণে বাঙালীরা অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন বেশিদিন সহ্য করতে পারেনা। যেকোনসময়জীবনবাজীরেখে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এজন্য ১৯৭১ সালে পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে স্বাধীনতার গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের; সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তিরক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছে, বিশ্বদরবারে। আবার কোন রাষ্ট্রবা পরাশক্তি কোন জাতিসত্তার অধিকার বিলুণ্ঠিত করলে বাংলার জনগণ প্রতিবাদের ঝড় তুলে।

তারই ধারাবাহিকতায় বিগত মিয়ারমার সরকার আরকানি মুসলমানদের উপর গণহত্যা ও নির্যাতন শুরু করলে বাংলার পথপ্রান্তে প্রতিবাদ এবংনিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকী লাখ লাখ শরণার্থীদের এ দেশে আশ্রয় দেয়।

সম্প্রতিকালে ইসরাঈলি রাষ্ট্র নিরহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনদের উপর বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যা চালালে বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। ইসরাঈল এতটা বর্বর ও নৃশংস যে, আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিভেঙ্গে; গাজার জনসাধারণ, পশু-পাখি, গাছপালা, দালালসহ সমস্ত স্থাপনা মাটির সাথে মিশে দেয়। গাজায় বোমার সাথে উড়েছে মানুষ, লোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে স্যোশাল মিডিয়াতে। তারা আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলিকে গাজা ত্যাগ করার বার্তা দিয়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

ঠিক সে মুহূর্তে ১২ এপ্রিল ২০২৫-এ ‘‘মার্চ ফর গাজা’’ নামে একটিকর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচিতে বাঁধভাঙা মানুষের ঢলে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

বাংলাদেশের সকল ঘরোনার আলেম সমাজ এবং জনসাধারণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইসরাঈল আগ্রাসনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের পক্ষে সর্ববৃহৎ গণ জামায়েতে শামিল হয়। এতে সকল ঘরোনার আলেম উপস্থিত ছিলেন। লিড পজিশনে ছিলেন, কওমী, জামাতী, সালাফী সম্প্রদায়। ৫ ই আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক হাওয়া বদলের সুবাদে ইসলামি রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়ছে দিন দিন।

এ সুবর্ণ সুযোগ; ইসলামি দলগুলি গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে, বহু বছর পিছিয়ে পড়বে ইসলামি খেলাফত ব্যবস্থা এজন্য সুফি ধারার দুটি রাজনৈতিক দলও খেলাফত ব্যবস্থা দিকে এগোচ্ছে। সুন্নি রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের সকল পীর-মাশায়েখ ও সুন্নি ঘরোনার জনসাধারণ নিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসরাঈল আগ্রাসনীর বিরুদ্ধ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহৎ গণজামায়েতের ডাক দিয়েছে ২৬ ই এপ্রিল ২০২৪, রোজ শনিবার, ‘‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’’ শিরোনামে। বাংলাদেশের ১২ হাজারের অধিক দরবার ও খানকার পীর-মাশায়েখদের সাথে নিয়ে সমন্বয়ক টিম জোরেশোরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সোস্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে অনুমান করা যায়, সুন্নি সংগঠকদের সমন্বয়ক টিম এ অনুষ্ঠানকে সফল করার লক্ষ্যে টেফনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাথে শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক টিমও গঠন করছে। সার্বিক শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনায় যাতে ত্রুটি না থাকে।

একটি বিষয় আমাদের জানা থাকা দরকার, ফিলিস্তিন দুটিঅংশে বিভক্ত, একটিপশ্চিমতীরবাসী; এরাঞড়ি ঝঃধঃব ংড়ষঁঃরড়হ (ইসরাঈলএবংফিলিস্তিননাগরিকএকসাথে বসবাসকরতেপারবে) এর পক্ষে। গাজাকিš‘ঙহব ঝঃধঃব ংড়ষঁঃরড়হ (ফিলিস্তিনেরভূষÐেশুধু মাত্র ফিলিস্তিন নাগরিক বসবাস করবে) এর পক্ষে। এজন্য পশ্চিম তীর নিরাপদ থাকে প্রায়শ, তবে মাঝে মধ্যে বোমা নিক্ষেপ হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বৈপরীত্য রাজনৈতিক দর্শন ও ধর্মচিন্তার মাঝেও বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ সব সময় তাঁদেরসহ যোগিতা করে যাচ্ছে; এমনকি আর্থিক সহযোগিতাও।

আসুন, আমরা একনিষ্ঠতার সাথে ইসলামের স্বার্থে কাজ করি। মানুষের আবেগ ও অনুভূতিকে পুঁজি না করে ক্ষমতার মসনদ দখলনা করি, আশাকরি, ‘‘ম্যাসগ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’’হবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের নতুন সম্ভাবনা।