মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিদ্যুতের ট্রান্সফরমা বিকল

পাঁচদিন ধরে অন্ধকারে রাজস্থলীর কদুমছড়া এলাকা

কুদুমছড়া নষ্ট ট্রান্সফরমার এর সামনে অপেক্ষামান এলাকাবাসী।

মিন্টু কান্তি নাথ, রাজস্থলী প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার তিন নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের কদুমছড়া এলাকায়  বিদ্যুৎ এর ট্রান্সফরমার টি বিকল হওয়াতে পাঁচ দিন ধরে এ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।এলাকার শত পরিবার এখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) উপজেলার কুদুমছড়া এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে এই বিষয়ে জানার জন্য অফিসের নম্বরে বারবার ফোন দিয়েও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা যায়,শনিবার (৭ জুন) দুপুরে হঠাৎ  ট্রান্সফরমার টি বিকট শব্দ হলে বিকল হয়ে পড়ে। এতে অন্ধাকরে জীবন যাপন করছে এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অটোরিকশাচালক সুপ্রভাত কে বলেন,অটোরিকশা চালিয়ে আমার সংসার চলে। প্রতি সপ্তাহে আমার ঋণের টাকা জমা দিতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়িতে চার্জ দিতে পারিনি, তাই গত পাঁচ দিন গাড়ি বের করতে পারিনি। আজকে পাঁচ দিন পার হয়ে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি।

সামনের এইচ এসসি পরীক্ষার্থী বলেন ঝড়ের আগে যে বিদ্যুৎ গেছে, আজকে পাঁচ দিন হয়ে যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসে নাই। মাঠে তাদের কর্মীদের দেখা যায়নি। বিদ্যুৎ অফিসে বারবার ফোন দেওয়ার পরও তারা ফোন রিসিভ করেনি। তিন নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের এলাকার বাসিন্দা গ্রাম্য প্রধান ( কারবারী) মাসুইচিং মারমা এ প্রতিনিধি কে বলেন, ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসহ সব ধরনের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কখন যে বিদ্যুৎ আসবে একমাত্র ভগবানে জানে।

গ্রাম পুলিশ ক্যথুইচিং মারমা  বলেন,কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎতের তারের ওপর পড়ে থাকা গাছপালা আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ উদ্যোগে নিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছি।
কুদুমছড়া উত্তর যুব সংঘের সভাপতি ক্যসিংমং মারমা বলেন,আমাদের এলাকার বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারটি হটাৎ নষ্ট হওয়াতে প্রায় পাঁচ দিন যাবৎ অন্ধকারে আছি । যা মেরামত করা অল্প কিছু সময়ের ব্যাপার। কিন্তু অজানা কারণে আজ ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ধরনের মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। টানা ৫ দিন বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকটা দুর্বিষহ জীবন পার হচ্ছে এই এলাকার ২ গ্রামের শতাধিক পরিবারের। বিদ্যুৎ না থাকায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক কষ্ট হচ্ছে। সামনে এইচ এসসি পরীক্ষা। ফলে দ্রুত মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে তিন নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  আদোমং মারমা বলেন, প্রায়

৫ দিন অতিবাহিত হলো আমাদের একটি গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন। সামনে আই এ পরীক্ষা। তাই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সু নজরে আনা দরকার।

বিদ্যুৎ না থাকায় গোসল করতে অসুবিধা হচ্ছে এবং ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসসহ যাবতীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

যোগাযোগ করা হলে  চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ আবাসিক প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে তিনি বলেন খুবই শীঘ্রই কাজ করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। ঈদের বন্ধ হওয়াতে একটু অসুবিধা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

ঝিকরগাছায় অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেপ্তার

বিদ্যুতের ট্রান্সফরমা বিকল

পাঁচদিন ধরে অন্ধকারে রাজস্থলীর কদুমছড়া এলাকা

প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

মিন্টু কান্তি নাথ, রাজস্থলী প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার তিন নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের কদুমছড়া এলাকায়  বিদ্যুৎ এর ট্রান্সফরমার টি বিকল হওয়াতে পাঁচ দিন ধরে এ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।এলাকার শত পরিবার এখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) উপজেলার কুদুমছড়া এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে এই বিষয়ে জানার জন্য অফিসের নম্বরে বারবার ফোন দিয়েও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা যায়,শনিবার (৭ জুন) দুপুরে হঠাৎ  ট্রান্সফরমার টি বিকট শব্দ হলে বিকল হয়ে পড়ে। এতে অন্ধাকরে জীবন যাপন করছে এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অটোরিকশাচালক সুপ্রভাত কে বলেন,অটোরিকশা চালিয়ে আমার সংসার চলে। প্রতি সপ্তাহে আমার ঋণের টাকা জমা দিতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়িতে চার্জ দিতে পারিনি, তাই গত পাঁচ দিন গাড়ি বের করতে পারিনি। আজকে পাঁচ দিন পার হয়ে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি।

সামনের এইচ এসসি পরীক্ষার্থী বলেন ঝড়ের আগে যে বিদ্যুৎ গেছে, আজকে পাঁচ দিন হয়ে যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসে নাই। মাঠে তাদের কর্মীদের দেখা যায়নি। বিদ্যুৎ অফিসে বারবার ফোন দেওয়ার পরও তারা ফোন রিসিভ করেনি। তিন নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের এলাকার বাসিন্দা গ্রাম্য প্রধান ( কারবারী) মাসুইচিং মারমা এ প্রতিনিধি কে বলেন, ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসহ সব ধরনের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কখন যে বিদ্যুৎ আসবে একমাত্র ভগবানে জানে।

গ্রাম পুলিশ ক্যথুইচিং মারমা  বলেন,কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎতের তারের ওপর পড়ে থাকা গাছপালা আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ উদ্যোগে নিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছি।
কুদুমছড়া উত্তর যুব সংঘের সভাপতি ক্যসিংমং মারমা বলেন,আমাদের এলাকার বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারটি হটাৎ নষ্ট হওয়াতে প্রায় পাঁচ দিন যাবৎ অন্ধকারে আছি । যা মেরামত করা অল্প কিছু সময়ের ব্যাপার। কিন্তু অজানা কারণে আজ ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ধরনের মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। টানা ৫ দিন বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকটা দুর্বিষহ জীবন পার হচ্ছে এই এলাকার ২ গ্রামের শতাধিক পরিবারের। বিদ্যুৎ না থাকায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক কষ্ট হচ্ছে। সামনে এইচ এসসি পরীক্ষা। ফলে দ্রুত মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে তিন নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  আদোমং মারমা বলেন, প্রায়

৫ দিন অতিবাহিত হলো আমাদের একটি গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন। সামনে আই এ পরীক্ষা। তাই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সু নজরে আনা দরকার।

বিদ্যুৎ না থাকায় গোসল করতে অসুবিধা হচ্ছে এবং ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসসহ যাবতীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

যোগাযোগ করা হলে  চন্দ্রঘোনা বিদ্যুৎ আবাসিক প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে তিনি বলেন খুবই শীঘ্রই কাজ করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। ঈদের বন্ধ হওয়াতে একটু অসুবিধা হচ্ছে।