রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসরাইলকেই:-ডোনাল্ড ট্রাম্প

গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের আলোচনা থেকে ইসরাইল সরে আসার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসরাইলকেই।

স্কটল্যান্ডের টার্নবেরিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইয়েনের সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (হামাস) এখন জিম্মিদের ছাড়তে চাইছে না। বিষয়টি নিয়ে তারা হঠাৎ করেই কঠোর হয়ে উঠেছে। তাই ইসরাইলের এখন একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, গাজায় হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরবর্তী পদক্ষেপে কী ঘটবে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিলেন যে, ইসরাইলকে হয়তো কঠোর সামরিক সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে যদি কূটনৈতিক আলোচনার পথ কার্যকর না হয়।

এদিকে, গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে কিছু বিরতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে জরুরি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। ইসরাইলি হামলার বিরতি যেন সাহায্য পৌঁছানোর সুযোগে পরিণত হয়।’

তিনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘আমাদের এখন এমন ব্যবস্থা দরকার যা খাদ্য সহায়তা বহুগুণে বাড়াতে সহায়ক হবে এবং যাতে আবারও খাদ্য বিতরণ, বেকারি কার্যক্রম ও গরম খাবার সরবরাহ শুরু করা যায়।’

ম্যাককেইন আরও জানান, ‌‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দল ইতোমধ্যে গাজার ভেতরে অবস্থান করছে এবং আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে, যা পুরো গাজা উপত্যকার বিপদাপন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।’

গাজায় চলমান সংকট আরও গভীরতর হচ্ছে। একদিকে বন্দি মুক্তির দাবি, অন্যদিকে মানবিক সহায়তার তীব্র চাহিদা—এই দুই চাপের মধ্যেই ইসরাইলকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

বিমান থেকে লাফিয়ে পড়ছেন যাত্রীরা, ঘটনা কী?

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসরাইলকেই:-ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ১১:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের আলোচনা থেকে ইসরাইল সরে আসার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসরাইলকেই।

স্কটল্যান্ডের টার্নবেরিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইয়েনের সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (হামাস) এখন জিম্মিদের ছাড়তে চাইছে না। বিষয়টি নিয়ে তারা হঠাৎ করেই কঠোর হয়ে উঠেছে। তাই ইসরাইলের এখন একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, গাজায় হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরবর্তী পদক্ষেপে কী ঘটবে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিলেন যে, ইসরাইলকে হয়তো কঠোর সামরিক সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে যদি কূটনৈতিক আলোচনার পথ কার্যকর না হয়।

এদিকে, গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে কিছু বিরতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে জরুরি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। ইসরাইলি হামলার বিরতি যেন সাহায্য পৌঁছানোর সুযোগে পরিণত হয়।’

তিনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘আমাদের এখন এমন ব্যবস্থা দরকার যা খাদ্য সহায়তা বহুগুণে বাড়াতে সহায়ক হবে এবং যাতে আবারও খাদ্য বিতরণ, বেকারি কার্যক্রম ও গরম খাবার সরবরাহ শুরু করা যায়।’

ম্যাককেইন আরও জানান, ‌‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দল ইতোমধ্যে গাজার ভেতরে অবস্থান করছে এবং আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে, যা পুরো গাজা উপত্যকার বিপদাপন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।’

গাজায় চলমান সংকট আরও গভীরতর হচ্ছে। একদিকে বন্দি মুক্তির দাবি, অন্যদিকে মানবিক সহায়তার তীব্র চাহিদা—এই দুই চাপের মধ্যেই ইসরাইলকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।