বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিতে পারে: তারেক রহমান

ছবি-সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন- সরকারের যে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত ফ্যাসিস্ট শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে পারে। বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার আশুলিয়ায় ‘নারকীয় আশুলিয়া স্মরণে’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সমাবেশে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আশুলিয়ার মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় সরকারের নীতিনির্ধারকদেরই নিতে হবে। তাদের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত দেশে ফ্যাসিবাদের পুনর্জন্ম ঘটাচ্ছে।

তিনি বলেন, জুলাই মাসের ওই গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারান শ্রমিকরা। বিশেষ করে সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়। শুধু হত্যা নয়, লাশগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। লাশের সঙ্গে এমন বর্বরতা, নির্মমতা কারবালার ঘটনাকেও হার মানিয়েছে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ৫ আগস্ট যখন ফ্যাসিস্টদের পালানোর দিন ছিল, তখন আশুলিয়ায় চলছিল গণহত্যা।

আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছরের জুলাইয়ের সেই আন্দোলনে শ্রমিকদের সরাসরি কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না। তারা সরকারি চাকরি বা অন্য কোনো সুবিধার প্রত্যাশা করেননি। তাহলে কেন রাস্তায় নেমেছিলেন? কারণ স্পষ্ট—যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় ফ্যাসিস্ট থাকে, তাহলে কোনো নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে না, কোনো ন্যায্য দাবিও আদায় হবে না। এই উপলব্ধি থেকেই শ্রমজীবী মানুষ রাস্তায় নেমেছিল।

সমাবেশে তিনি আশুলিয়ার ‘জুলাই শহীদদের’ স্মরণে একটি বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন।

জনপ্রিয়

তারেক রহমান মঞ্চে একাই বক্তব্য রাখবেন

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে ফ্যাসিস্ট মাথাচাড়া দিতে পারে: তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৯:২১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন- সরকারের যে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত ফ্যাসিস্ট শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে পারে। বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার আশুলিয়ায় ‘নারকীয় আশুলিয়া স্মরণে’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সমাবেশে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আশুলিয়ার মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় সরকারের নীতিনির্ধারকদেরই নিতে হবে। তাদের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত দেশে ফ্যাসিবাদের পুনর্জন্ম ঘটাচ্ছে।

তিনি বলেন, জুলাই মাসের ওই গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারান শ্রমিকরা। বিশেষ করে সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়। শুধু হত্যা নয়, লাশগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। লাশের সঙ্গে এমন বর্বরতা, নির্মমতা কারবালার ঘটনাকেও হার মানিয়েছে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ৫ আগস্ট যখন ফ্যাসিস্টদের পালানোর দিন ছিল, তখন আশুলিয়ায় চলছিল গণহত্যা।

আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছরের জুলাইয়ের সেই আন্দোলনে শ্রমিকদের সরাসরি কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না। তারা সরকারি চাকরি বা অন্য কোনো সুবিধার প্রত্যাশা করেননি। তাহলে কেন রাস্তায় নেমেছিলেন? কারণ স্পষ্ট—যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় ফ্যাসিস্ট থাকে, তাহলে কোনো নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে না, কোনো ন্যায্য দাবিও আদায় হবে না। এই উপলব্ধি থেকেই শ্রমজীবী মানুষ রাস্তায় নেমেছিল।

সমাবেশে তিনি আশুলিয়ার ‘জুলাই শহীদদের’ স্মরণে একটি বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন।