রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাত পোহালেই ভোট

নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে হেভিওয়েট প্রার্থী ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী

নেত্রকোণা, স্টাফ রিপোর্টার:

রাত পোহালেই ভোট অর্থাৎ আগামীকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

নেত্রকোণা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী মাছ প্রতীকে সাধারণ সম্পাদক পদে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আলহাজ্ব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জেলার ১০টি উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ভোটার কাছে তাঁর পক্ষে ভোট প্রদানের জন্য ছুটে যাচ্ছেন এবং নেতাকর্মীদের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছেন।

প্রতিটি সভা ও গণসংযোগে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত হয়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে তৃণমূল পর্যায়ে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে চান তিনি।

সাধারণ কর্মী সমর্থকরা মনে করেন, দুর্দিনে যারা দলের পাশে ছিলো, হামলা, মামলা ও জেল জুলুম সহ্য করেছে, ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ পর্যন্ত থেমে যান নি তাদেরই নেতৃত্বে আসা উচিত। ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী নিবেদিত একজন ত্যাগী নেতা।

জানা গেছে, ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী প্রাথমিকের গন্ডী পেরিয়ে কেন্দুয়া জয়হরি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমানে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) থেকে ১৯৮৪ সালে লেটার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ (বর্তমানে কেন্দুয়া সরকারি কলেজ) থেকে লেটার মার্কসসহ এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে দেশের স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, সেখান
থেকেই মূলত ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে তাঁর পথচলা শুরু, ১৯৮৭ সালে তিনি আলাওল হলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক, ১৯৯০ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৩ সভাপতি নির্বাচিত হন, এরপর ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য পদ ও ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন, ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০৮ ও ২০১৬ সালে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হন, ২০১৩ সালে ২০-দলীয় ঐক্য জোটের সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১২ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

দীর্ঘ প্রায় চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়েছেন ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ৫৬টি মামলার আসামী, হামলা, গ্রেফতার ও জেল খেটেছেন তিনি।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সর্বশেষ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও তিনি নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে ২০০৮ সালে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ধানের শীষের নমিনি ছিলেন তিনি।

নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সালাম বলেন- ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী একজন পরীক্ষীত সৈনিক, দলের দূর্দিনে দলের সকল মামলার দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন মামলায় জেল কেটেছেন। তিনি নেত্রকোণার গর্বিত একজন বিএনপির নেতা। সাধারণ সম্পাদক পদে আমরা তাঁকেই চাই,

কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বিএনপির রাজনীতিতে তরুণ ও যুবদের কাছে একজন আইডল। আমরা চাই তিনি জেলার দায়িত্ব নিয়ে দলকে আরো সুসংগঠিত করুক। সুখে -দুখে আমাদের পাশে থাকুক।

উল্লেখ্য নেত্রকোণা জেলা দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের মধ্যে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী হেভিওয়েট প্রার্থী।

জনপ্রিয়

চিকিৎসকরা বললেই লন্ডন নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে: ডা. জাহিদ

রাত পোহালেই ভোট

নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে হেভিওয়েট প্রার্থী ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

নেত্রকোণা, স্টাফ রিপোর্টার:

রাত পোহালেই ভোট অর্থাৎ আগামীকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

নেত্রকোণা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী মাছ প্রতীকে সাধারণ সম্পাদক পদে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আলহাজ্ব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জেলার ১০টি উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ভোটার কাছে তাঁর পক্ষে ভোট প্রদানের জন্য ছুটে যাচ্ছেন এবং নেতাকর্মীদের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছেন।

প্রতিটি সভা ও গণসংযোগে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত হয়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে তৃণমূল পর্যায়ে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে চান তিনি।

সাধারণ কর্মী সমর্থকরা মনে করেন, দুর্দিনে যারা দলের পাশে ছিলো, হামলা, মামলা ও জেল জুলুম সহ্য করেছে, ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ পর্যন্ত থেমে যান নি তাদেরই নেতৃত্বে আসা উচিত। ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী নিবেদিত একজন ত্যাগী নেতা।

জানা গেছে, ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী প্রাথমিকের গন্ডী পেরিয়ে কেন্দুয়া জয়হরি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমানে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) থেকে ১৯৮৪ সালে লেটার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ (বর্তমানে কেন্দুয়া সরকারি কলেজ) থেকে লেটার মার্কসসহ এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে দেশের স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, সেখান
থেকেই মূলত ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে তাঁর পথচলা শুরু, ১৯৮৭ সালে তিনি আলাওল হলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক, ১৯৯০ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৩ সভাপতি নির্বাচিত হন, এরপর ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য পদ ও ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন, ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০৮ ও ২০১৬ সালে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হন, ২০১৩ সালে ২০-দলীয় ঐক্য জোটের সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১২ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

দীর্ঘ প্রায় চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়েছেন ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ৫৬টি মামলার আসামী, হামলা, গ্রেফতার ও জেল খেটেছেন তিনি।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সর্বশেষ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও তিনি নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে ২০০৮ সালে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ধানের শীষের নমিনি ছিলেন তিনি।

নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সালাম বলেন- ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী একজন পরীক্ষীত সৈনিক, দলের দূর্দিনে দলের সকল মামলার দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন মামলায় জেল কেটেছেন। তিনি নেত্রকোণার গর্বিত একজন বিএনপির নেতা। সাধারণ সম্পাদক পদে আমরা তাঁকেই চাই,

কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বিএনপির রাজনীতিতে তরুণ ও যুবদের কাছে একজন আইডল। আমরা চাই তিনি জেলার দায়িত্ব নিয়ে দলকে আরো সুসংগঠিত করুক। সুখে -দুখে আমাদের পাশে থাকুক।

উল্লেখ্য নেত্রকোণা জেলা দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের মধ্যে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী হেভিওয়েট প্রার্থী।