বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার, ৫ মোটরসাইকেল উদ্ধার

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে একটি রয়েল এনফিল্ডসহ মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যা বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর, তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জুল হোসেন ও বাবুল হোসেন। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
গত ২১শে আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার শহরের গীর্জাপাড়া এলাকা থেকে জনৈক মাহবুব হাসানের ভাড়াবাসা থেকে একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল চুরি হয়। এঘটনায় বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। (মামলা নং-৪২(৮)২৫)
চুরির ঘটনার পর পরই মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম,কে,এইচ,জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম-সেবার নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খয়েরের তত্ত্বাবধানে কাজে মাঠে নামে পুলিশ।
সদর থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই হিরন কুমার বিশ্বাস, এসআই উৎপল সাহাসহ একটি দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তকালে পুলিশের এই বিশেষ দলটি প্রায় ৪৭টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চক্রের মূলহোতাসহ সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে।
সদর থানা পুলিশের দলটি গত ২৮শে আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানাধীন চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর (৩৫), পিতা—ছানা বাবু ওরফে অজিত দাস, মাতা—মিতা রানী দাস, স্থায়ী ঠিকানা—আগরপুর পূর্বপাড়া, ডাকঘর সরাসচর,থানা কুলিয়ারচর, জেলা কিশোরগঞ্জকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই আসামি তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জল হোসেন এবং মো. বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় মো. বাবুল হোসেনের হেফাজত থেকে একটি চোরাই পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন পটলের ছেলে সোহানের বাড়ি থেকে মামলার চুরি যাওয়া রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলসহ আরও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আসামিদের ৫দিনের পুলিশ হেফাজতে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই স্থান (ভৈরব,পলতাকান্দা) থেকে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার ওসি গাজী মো: মাহবুবুর রহমান জানান, ‘এ পর্যন্ত মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের সোহানের কাছে বিক্রি করে আসছিল। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে কাজ করছি।
জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজারে আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার, ৫ মোটরসাইকেল উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১০:১৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে একটি রয়েল এনফিল্ডসহ মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যা বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর, তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জুল হোসেন ও বাবুল হোসেন। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
গত ২১শে আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার শহরের গীর্জাপাড়া এলাকা থেকে জনৈক মাহবুব হাসানের ভাড়াবাসা থেকে একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল চুরি হয়। এঘটনায় বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। (মামলা নং-৪২(৮)২৫)
চুরির ঘটনার পর পরই মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম,কে,এইচ,জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম-সেবার নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খয়েরের তত্ত্বাবধানে কাজে মাঠে নামে পুলিশ।
সদর থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই হিরন কুমার বিশ্বাস, এসআই উৎপল সাহাসহ একটি দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তকালে পুলিশের এই বিশেষ দলটি প্রায় ৪৭টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চক্রের মূলহোতাসহ সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে।
সদর থানা পুলিশের দলটি গত ২৮শে আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানাধীন চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর (৩৫), পিতা—ছানা বাবু ওরফে অজিত দাস, মাতা—মিতা রানী দাস, স্থায়ী ঠিকানা—আগরপুর পূর্বপাড়া, ডাকঘর সরাসচর,থানা কুলিয়ারচর, জেলা কিশোরগঞ্জকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই আসামি তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জল হোসেন এবং মো. বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় মো. বাবুল হোসেনের হেফাজত থেকে একটি চোরাই পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন পটলের ছেলে সোহানের বাড়ি থেকে মামলার চুরি যাওয়া রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলসহ আরও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আসামিদের ৫দিনের পুলিশ হেফাজতে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই স্থান (ভৈরব,পলতাকান্দা) থেকে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার ওসি গাজী মো: মাহবুবুর রহমান জানান, ‘এ পর্যন্ত মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের সোহানের কাছে বিক্রি করে আসছিল। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে কাজ করছি।