মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাতারের পাশে ইরান, যে কোন সময় ইসরায়েলে হামলা

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর ইরান কাতারের প্রতি সমর্থন জোরদার করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল আব্দোররাহিম মুসাভি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুর মুখোমুখি অবস্থায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী কখনোই কাতারকে একা ছেড়ে দেবে না।

বৃহস্পতিবার কাতারের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাউদ বিন আবদুর রহমান আল থানি এর সঙ্গে টেলিফোন আলাপকালে মুসাভি ইসরায়েলের হামলাকে অপরাধমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী কাতারের ভাইদের সমর্থনে কখনো দ্বিধা করবে না। দুই জাতির বন্ধন সবসময় ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।

মুসাভি আরও বলেন, অপরাধী জায়নিস্ট শাসনব্যবস্থাই মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মূল উৎস। কাতার কখনো একা থাকবে না এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের ইসরায়েলের আগ্রাসনের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করেন।

সর্বশেষ কাতারে ইসরায়েলের হামলা ওয়াশিংটনের সবুজ সংকেত ছাড়া সম্ভব ছিল না। পশ্চিমাদের সমর্থন ছাড়া অপরাধী ইসরায়েল টিকেই থাকতে পারত না।

কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আল থানি হামলাকে “সন্ত্রাসবাদী কর্ম” হিসেবে আখ্যায়িত করে ইরানের সংহতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনীতির সব নীতি-নৈতিকতা উপেক্ষা করেছে।

তিনি ইরানের পূর্ববর্তী অবস্থান ও সাম্প্রতিক সহায়তার প্রশংসা করে ভবিষ্যতে তেহরান-দোহা বৈঠকে আঞ্চলিক আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর সমাধান খোঁজার আশা প্রকাশ করেন।

ইরানের এই দৃঢ় অবস্থান কাতারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শক্তি সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে। ইসরায়েল ও পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, ইরান কাতারকে একা ছেড়ে না দেওয়ার বার্তা দিয়ে অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সমর্থন কাতারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শক্তিশালী অবস্থানে রাখবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন কূটনৈতিক পথ তৈরি করবে।

জনপ্রিয়

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বিশেষ ভাতা দেবে: সালাহউদ্দিন

কাতারের পাশে ইরান, যে কোন সময় ইসরায়েলে হামলা

প্রকাশের সময় : ০৭:১৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর ইরান কাতারের প্রতি সমর্থন জোরদার করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল আব্দোররাহিম মুসাভি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুর মুখোমুখি অবস্থায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী কখনোই কাতারকে একা ছেড়ে দেবে না।

বৃহস্পতিবার কাতারের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাউদ বিন আবদুর রহমান আল থানি এর সঙ্গে টেলিফোন আলাপকালে মুসাভি ইসরায়েলের হামলাকে অপরাধমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী কাতারের ভাইদের সমর্থনে কখনো দ্বিধা করবে না। দুই জাতির বন্ধন সবসময় ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।

মুসাভি আরও বলেন, অপরাধী জায়নিস্ট শাসনব্যবস্থাই মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মূল উৎস। কাতার কখনো একা থাকবে না এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের ইসরায়েলের আগ্রাসনের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করেন।

সর্বশেষ কাতারে ইসরায়েলের হামলা ওয়াশিংটনের সবুজ সংকেত ছাড়া সম্ভব ছিল না। পশ্চিমাদের সমর্থন ছাড়া অপরাধী ইসরায়েল টিকেই থাকতে পারত না।

কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আল থানি হামলাকে “সন্ত্রাসবাদী কর্ম” হিসেবে আখ্যায়িত করে ইরানের সংহতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনীতির সব নীতি-নৈতিকতা উপেক্ষা করেছে।

তিনি ইরানের পূর্ববর্তী অবস্থান ও সাম্প্রতিক সহায়তার প্রশংসা করে ভবিষ্যতে তেহরান-দোহা বৈঠকে আঞ্চলিক আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর সমাধান খোঁজার আশা প্রকাশ করেন।

ইরানের এই দৃঢ় অবস্থান কাতারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শক্তি সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে। ইসরায়েল ও পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, ইরান কাতারকে একা ছেড়ে না দেওয়ার বার্তা দিয়ে অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সমর্থন কাতারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শক্তিশালী অবস্থানে রাখবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন কূটনৈতিক পথ তৈরি করবে।