মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা

ছবি- সংগৃহীত

ইসবগুলকে বলা হয় প্রাকৃতিক ওষুধ। এটি দ্রুত পেট পরিষ্কার করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসবগুল গরম পানিতে গুলে খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর হয়।

ইসবগুলের ভুসি কী

ইসবগুলের ভুসি মূলত সাইলিয়াম (প্ল্যান্টাগো ওভাটা) বীজের খোসা, যা দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর। এটি রেচক বা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে পরিচিত। গবেষণায় প্রমাণিত, এটি হার্ট ও অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

খাওয়ার নিয়ম

.প্রথমে দিনে একবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

বিজ্ঞাপন
.ধীরে ধীরে দিনে ২-৩ বার খাওয়া যেতে পারে।

.এক গ্লাস গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে।

বিজ্ঞাপন
.রাতে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে বেশি উপকারী।

পুষ্টিগুণ

১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে—

৫৩% ক্যালোরি

১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম

১৫ গ্রাম শর্করা

৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম

০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন

কোনো ফ্যাট নেই, তাই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।

ইসবগুলের উপকারিতা

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: অন্ত্রে একটি স্তর তৈরি করে যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল শোষণ হতে বাধা দেয়। ফলে তা মলের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: পেট পরিষ্কার রাখে ও আলসারজনিত ব্যথা কমায়।

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়: আখের গুড়ের সঙ্গে খেলে দ্রুত আরাম মেলে।

গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করে: পাকস্থলীতে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, অ্যাসিডিটি কমায়।

ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে: দইয়ের সঙ্গে খেলে তরল মল শক্ত হয় ও দ্রুত আরোগ্য ঘটে।

হার্ট ভালো রাখে: রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, ধমনী ব্লক হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

খাওয়ার সঠিক নিয়ম

.অবশ্যই পর্যাপ্ত পানির সঙ্গে খেতে হবে।

.এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে।

.পানি বা শরবতের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে।

নিয়মিত ও সঠিকভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে পাচন সমস্যা, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা

প্রকাশের সময় : ০২:০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসবগুলকে বলা হয় প্রাকৃতিক ওষুধ। এটি দ্রুত পেট পরিষ্কার করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসবগুল গরম পানিতে গুলে খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর হয়।

ইসবগুলের ভুসি কী

ইসবগুলের ভুসি মূলত সাইলিয়াম (প্ল্যান্টাগো ওভাটা) বীজের খোসা, যা দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর। এটি রেচক বা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে পরিচিত। গবেষণায় প্রমাণিত, এটি হার্ট ও অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

খাওয়ার নিয়ম

.প্রথমে দিনে একবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

বিজ্ঞাপন
.ধীরে ধীরে দিনে ২-৩ বার খাওয়া যেতে পারে।

.এক গ্লাস গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে।

বিজ্ঞাপন
.রাতে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে বেশি উপকারী।

পুষ্টিগুণ

১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে—

৫৩% ক্যালোরি

১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম

১৫ গ্রাম শর্করা

৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম

০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন

কোনো ফ্যাট নেই, তাই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।

ইসবগুলের উপকারিতা

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: অন্ত্রে একটি স্তর তৈরি করে যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল শোষণ হতে বাধা দেয়। ফলে তা মলের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: পেট পরিষ্কার রাখে ও আলসারজনিত ব্যথা কমায়।

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়: আখের গুড়ের সঙ্গে খেলে দ্রুত আরাম মেলে।

গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করে: পাকস্থলীতে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, অ্যাসিডিটি কমায়।

ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে: দইয়ের সঙ্গে খেলে তরল মল শক্ত হয় ও দ্রুত আরোগ্য ঘটে।

হার্ট ভালো রাখে: রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, ধমনী ব্লক হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

খাওয়ার সঠিক নিয়ম

.অবশ্যই পর্যাপ্ত পানির সঙ্গে খেতে হবে।

.এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে।

.পানি বা শরবতের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে।

নিয়মিত ও সঠিকভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে পাচন সমস্যা, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।