বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার সঠিক সময় 

ছবি: সংগৃহীত

কলা আমাদের অতি পরিচিত ও সহজলভ্য ফল। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, শরীরের জন্য শক্তির জোগানদাতা ও নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা খাওয়ার সময় অনুযায়ী এর উপকারিতা ভিন্ন হতে পারে।

কখন খেলে বেশি উপকার

ব্যায়ামের আগে (১৫-৩০ মিনিট): দ্রুত শক্তি আসে, পেশি কাজের জন্য প্রস্তুত হয়।

নাশতার সঙ্গে: দই, ওটস বা পাউরুটির সঙ্গে খেলে দিন শুরু হয় সতেজভাবে।

দুপুর বা বিকেলে: খাবারের পর বা ক্ষুধা লাগলে কলা খেলে শক্তি ফেরে, মনও ভালো থাকে।

হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা

খাবারের সঙ্গে: ফাইবার হজমপ্রক্রিয়া সহজ করে।

অপক্ব কলা: এতে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় ও হজমে সাহায্য করে।

খাবারের আগে: ভাত বা রুটি খাওয়ার আধঘণ্টা আগে কলা খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়, অতিরিক্ত খাওয়া কমে।

স্ন্যাকস হিসেবে: দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে একটি কলা ক্ষুধা মেটায়, অতিরিক্ত ক্যালরি বাড়ায় না।

পুষ্টিগুণ

একটি মাঝারি কলায় থাকে প্রায় ১০৫ ক্যালরি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি ও বি৬। পাকা কলায় চিনি বেশি থাকলেও অপক্ব কলায় ফাইবার ও স্টার্চ বেশি থাকে।

সতর্কতা

ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা বিশেষ কোনো স্বাস্থ্যসমস্যা থাকলে নিয়মিত কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সাধারণভাবে দিনে একটি কলাই যথেষ্ট।

সঠিক সময়ে এবং পরিমিত কলা খেলে শরীর পাবে শক্তি, হজম থাকবে ভালো, আর ওজন নিয়ন্ত্রণেও মিলবে সহায়তা।

জনপ্রিয়

কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ 

কলার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার সঠিক সময় 

প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কলা আমাদের অতি পরিচিত ও সহজলভ্য ফল। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, শরীরের জন্য শক্তির জোগানদাতা ও নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা খাওয়ার সময় অনুযায়ী এর উপকারিতা ভিন্ন হতে পারে।

কখন খেলে বেশি উপকার

ব্যায়ামের আগে (১৫-৩০ মিনিট): দ্রুত শক্তি আসে, পেশি কাজের জন্য প্রস্তুত হয়।

নাশতার সঙ্গে: দই, ওটস বা পাউরুটির সঙ্গে খেলে দিন শুরু হয় সতেজভাবে।

দুপুর বা বিকেলে: খাবারের পর বা ক্ষুধা লাগলে কলা খেলে শক্তি ফেরে, মনও ভালো থাকে।

হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা

খাবারের সঙ্গে: ফাইবার হজমপ্রক্রিয়া সহজ করে।

অপক্ব কলা: এতে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় ও হজমে সাহায্য করে।

খাবারের আগে: ভাত বা রুটি খাওয়ার আধঘণ্টা আগে কলা খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়, অতিরিক্ত খাওয়া কমে।

স্ন্যাকস হিসেবে: দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে একটি কলা ক্ষুধা মেটায়, অতিরিক্ত ক্যালরি বাড়ায় না।

পুষ্টিগুণ

একটি মাঝারি কলায় থাকে প্রায় ১০৫ ক্যালরি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি ও বি৬। পাকা কলায় চিনি বেশি থাকলেও অপক্ব কলায় ফাইবার ও স্টার্চ বেশি থাকে।

সতর্কতা

ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা বিশেষ কোনো স্বাস্থ্যসমস্যা থাকলে নিয়মিত কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সাধারণভাবে দিনে একটি কলাই যথেষ্ট।

সঠিক সময়ে এবং পরিমিত কলা খেলে শরীর পাবে শক্তি, হজম থাকবে ভালো, আর ওজন নিয়ন্ত্রণেও মিলবে সহায়তা।